চাঁদপুর লাইভ: ধিক্কার। অসভ্যতা। ঘৃণায় শিক্ষক সমাজ নুয়ে পড়েছেন। শিক্ষক যদি হয় ছাত্রীর ভক্ষক। তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। এমন একটি ঘটনাই ঘটেছে চাঁদপুরে। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষক কমন রুমে। পরে ইএনও ও থানার ওসি এসে তাকে উদ্ধার করে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ চররাঘবরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আলাউদ্দিন হোসেন (৩০) নামে এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এ খবরে ঘটনাস্থল ছুটে যান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিয়া, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, থানা ওসি তদন্ত রাজীব কুমার দাস। স্থানীয়রা জানান, আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই অনৈতিক কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করে।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষক আলাউদ্দিন বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে অন্য শিক্ষার্থীদের অগোচরে ওই ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দিয়েছে এবং শরীরের একাধিক স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক সন্তানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষককে মারধর করে ও শিক্ষক মিলনায়তনে ওই শিক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ খবর শুনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিয়া, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, থানা ওসি তদন্ত রাজীব কুমার দাস বিদ্যালয়ে হাজির হন।
ছাত্রীর পিতা হামীম খান ওই শিক্ষককে মারধর করে ও শিক্ষক মিলনায়তনে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়টি ইএনও এবং স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ মিলে মিমাংসা করে দিয়েছে বলে জানাগেছে। তবে তদন্ত চলছে।
ঢাকা, ০২ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: