Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চবি'র নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের "লিভ টু আপিল" প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বার ২০১৭, ০০:৩১

 

চবি লাইভ: বুধবার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃ-বিজ্ঞানের পরীক্ষা কমিটি গঠনের ওপর আপিল বিভাগের 'স্থগিতাদেশ' বিষয়ে শুনানি হয়। এতে বাদী পক্ষ এ আদেশ নিয়ে আইনি কার্যক্রমে অগ্রসর হতে চায় না জানিয়ে ও ভুল তথ্য উপস্থাপন করায় ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানায়। পরবর্তীতে আদালত ক্ষোভ জানিয়ে পরীক্ষা কমিটি ও পরীক্ষা শুরুর ওপর স্থগিতাদেশ নিষ্পত্তি করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নৃ-বিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটি গঠন নিয়ে প্রফেসর ড. রাহমান নাছিরের লিভ টু আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে ওই বর্ষের পরীক্ষা শুরু হতে আর কোন আইনি বাধা থাকল না। এরআগে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে গত ৫ ডিসেম্বর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুন:আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ ডিসেম্বর চেম্বার জজ উভয় পক্ষে শুনানি শুনে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন এবং আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

বিবাদী পক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (গোপনীয় শাখা) শামসু ইসলাম বলেন, 'রিট করার পর স্থগিতাদেশ বহাল রাখতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন নৃ-বিজ্ঞানের শিক্ষক রাহমান নাছির। কিন্তু আদালত সেটি 'নো অর্ডার' হিসেবে উল্লেখ করেন।

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বলেন, আমার মক্কেল শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ বিষয়ে আর অগ্রসর না হবার আবেদন জানিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেন।

তবে সিন্ডিকেটের অবৈধ, অন্যায় ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান বাদী প্রফেসর ড. রাহমান নাছির।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন ৫০৯ তম সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় বিধি–বর্হিভুত কার্যকলাপের জন্য নৃ-বিজ্ঞানের শিক্ষক প্রফেসর ড. রাহমান নাছিরকে সতর্ক করে দুটি পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন ওই শিক্ষক।

পরে আদালত 'কেন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না' এ মর্মে জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০ দিনের সময় বেধে দেয় রুলের জবাব দিতে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জবাব না দিয়ে নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।

পরীক্ষা কমিটি যাতে গঠন করা না হয় সেজন্য আরো একটি রিট করেন ওই শিক্ষক যা আদালত খারিজ করে দেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ফের আপিল করেন। তখন গত ২ নভেম্বর আপিল বিভাগ সন্তুষ্ট হয়ে এর ওপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয়, যা শেষ হয় গত ২ ডিসেম্বর। পরে তা বাতিল করতে বিশ্ববিদ্যা চেম্বার জাজের কাছে আবেদন করে।

 

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ