Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
নাচানো, চুমু ,স্পর্শকাতর অঙ্গের নাম বলতে বাধ্যকরা সেই শিক্ষার্থী...

র‍্যাগিং কান্ডে জড়িয়েও ঢাবির শিক্ষক হচ্ছেন তিনি!

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:৩১

র‍্যাগিং কান্ডে জড়িয়েও ঢাবির শিক্ষক হচ্ছেন তিনি!

ঢাবি লাইভ: এসব কি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে! এধরনের নিয়োগ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-দাম সবই হারাবে বলে দাবী তুলেছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, র‍্যাগিং কান্ডে জড়িত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে কি শেখাবে শিক্ষার্থীদের আর জাতিকে দেবেন কি উপহার। এনিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস ও বাইরে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। জানাগেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমনই এক ছাত্রী! অভিযুক্ত সাবেক শিক্ষার্থীকে প্রভাষক পদ পাইয়ে দিতে সব ধরনের তদবির করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দুই শিক্ষক। সম্প্রতি ঢাবির মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। সকলের সামনেই পরিস্কার!

সূত্র বলছে, বিভাগের ২টি প্রভাষকের শূন্য পদের একটিতে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ওই শিক্ষার্থী। এমন তথ্য মিলেছে ক্যাম্পাস থেকে। প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন। তার বিষয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

সূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের একটি ক্লাস রুমে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে ওই শিক্ষার্থীসহ তার কয়েকজন সহপাঠীর বিরুদ্ধে। সে সময়ে তারা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ধমকাধামকি ও গালি-গালাজ করে।

এছাড়াও গায়ে হাত দেওয়া, কপালে টিপ ও লিপস্টিক দিয়ে দেওয়া, মেয়েদের গায়ের ওড়না খুলে ছেলেদের গায়ে পড়িয়ে দেওয়া ও অশ্লীল হিন্দি ভিডিও প্রজেক্টরে ছেড়ে নাচানো, চুমু দেওয়া ইত্যাদি যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়; র‍্যাগিং এর স্বীকার কতিপয় ছাত্রীকে বারবার স্পর্শকাতর অঙ্গের নাম উচ্চারণ করতে বাধ্য করা হয়।

তখনও র‍্যাগিং-এর এমন ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে শাস্তি না দিয়ে শুধু মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া এবং এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিকে না জানানোর জন্য তৎকালীন চেয়ারম্যানের নিকট অনুরোধ জানায় ওই শিক্ষকরা। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন মোছা. ওয়াহিদা হক। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বর্ষের ঐ শিক্ষার্থীরা ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করে এবং আলাদা আলাদা স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত আবেদন পত্র ভিসি বরাবর জমা দেয় বিভাগ।

সেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৎসবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোছা. ওয়াহিদা হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কে নিয়োগ পাবে, কে না পাবে এবং কে পাওয়া উচিত, কে না পাওয়া উচিত তার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির হাতে।’

তিনি আরও বলেন, র‍্যাগিং একটি গর্হিত কাজ। র‍্যাগিংং করা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সব সময় স্পষ্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিভাগের দুটি প্রভাষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত করার আহবান করে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বোর্ড। গুঞ্জন উঠে প্রভাষকের দুটি শূন্য পদের একটিতে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে র‍্যাগিং এর দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের একজন। তাছাড়া অভিযোগ উঠেছে, ওই সাবেক শিক্ষার্থীকে প্রভাষক পদে নিয়োগ পাইয়ে দিতে নানা মহলে তদবির করে যাচ্ছে উক্ত বিভাগেরই কয়েকজন শিক্ষক।

তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রোকনুজ্জামানের। একাধিকবার মেসেজে ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

র‍্যাগিং এ অভিযুক্ত শিক্ষার্থী প্রভাষক পদে নিয়োগ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল (শিক্ষা) বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি অবগত নই।’এটা নিয়োগ কমিটির কাজ। তারাই বিষয়েটি দেখবেন।

ঢাকা, ০৮ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএফ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ