রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে অনশনে বসা শিক্ষার্থীকে তুলে দিলেন ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস। রাবি প্রশাসন ভবনের সামনে বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অনশনে বসা প্রসেনজিতকে তুলে দেন তিনি। অনশনে বসা প্রসেনজিত মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ‘বুধবার রাত ৮ টায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম হৃদয়কে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আর রাবি প্রশাসন ভবনের সামনে এই ছুরিকাঘাতের সাথে জড়িত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে আমরণ অনশনে বসে প্রসেনজিত।
এসময় ছাত্র উপদেষ্টা তাকে দেখে অনশনে বসার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চান এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কিনা? রাগান্বিত হয়ে প্রক্টর স্যারদের ফোন দেন। তার হাতে প্ল্যাকার্ডগুলোও ছিড়ে ফেলান তিনি। এক পর্যায়ে উঠে যেতে বাধ্য করা হয় প্রসেনজিতকে।
এসময় প্রসেনজিত আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে প্রশাসন ভবন থেকে চলে যেতে লাগলে পুলিশ তাকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মার্কেটিং বিভাগে সভাপতির কক্ষে আত্মহত্যা না করার পক্ষে একটি মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থী প্রসেনজিত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনশনে বসলে ছাত্র-উপদেষ্টা আমার সাথে অশালীন আচরণ করে। আমার হাতে প্ল্যাকার্ড গুলো ছিড়ে ফেলাসহ উঠিয়ে দেয়’।
এদিকে ছুরিকাঘাতের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা এবং ড. হাসানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে রাবি শিক্ষকদের নিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন ড. রওশন জাহিদ, নুরে আলম সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম হৃদয়কে গণিত বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামজা ছুরিকাঘাত করে। আহতাবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আহত সাইফুল মেডিকেল আইসিইউতে এবং অভিযুক্ত আবু হামজা মতিহার থানায় রয়েছে।
ঢাকা, ১৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: