Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সমাবর্তন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই রাবি প্রশাসনের

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৮, ২২:১৮

রাবি লাইভ: গ্রাজুয়েট শেষ করে সমাবর্তন নিয়ে আশায় বুক বেঁধে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাজুয়েটরা। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে আনন্দময় একটি দিন কাটাবে। ভেসে যাবে আনন্দের জোয়ারে। সেই সপ্ন বাস্তবায়নের মাহিন্দ্রক্ষণে এসেও সমাবর্তন নিয়ে হতাশায় দিন গুনছে রাবির প্রায় ৬ হাজার গ্রাজুয়েট।

কিন্তু সেই সমাবর্তন বাস্তবায়ন নিয়ে, নেই কেন উদ্যোগ, নেই কোন মাথা ব্যাথা রাবি প্রশাসনের। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাবির শুধু গ্রেজুয়েটধারীরা নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরাদের এ বারের ১০ম সমাবর্তনে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়।

নিবন্ধন শুরু হয়, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর। যেটি চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে করা হয় ১০ ডিসেম্বর । আর সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির সময় ও সমাবর্তনে বক্তা নিয়ে জটিলতায় পড়ে তৎকালীন প্রশাসন।

ফলে সমাবর্তনের তারিখ নিয়ে ধূয়াশার সৃষ্টি হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহান দায়িত্ব পাওয়ার পর সমাবর্তন আয়োজনের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।

২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারিতে আরেক দফায় শুরু হয় সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ যেটি চলে ৩১ জানুয়ারি পযর্ন্ত। এতে মোট রেজিস্ট্রেশনকারী গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা দাড়ায় ৬ হাজার ৯ জন।

তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দেন।

এ বিষয় নিয়ে শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়, চাযের দোকান থেকে প্রশাসন ভবন পর্যন্ত সৃষ্টি তুমুল আলোচন-সমালোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব নিয়ে আপত্তি জানায়। তারা বলেন, রাবি প্রশাসন সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১০(১) ধারায় বলা আছে, রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ভিসি এরূপ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন।

এ নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্র্যুাজুয়েদের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে ভিসি তা প্রহণ করেননি।

ফলে শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করেই ২৪ মার্চ সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছিল দায়িত্বশীলরা। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ফের পিছিয়ে গেল সমাবর্তন।

সমাবর্তন নিয়ে রাবি সিন্ডিকেটের শিক্ষক প্রতিনিধি কেবিএম মাহবুবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশের ছোট ছোট বেসরকারি এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশনেন। সেখানে রাবির মত দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত, বর্তমান প্রশাসনের ব্যার্থতায় দায়ী। সমাবর্তন দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েক বার ভিসির সাথে দেখা করেছি। এই গ্রাজুয়েট ৬ হাজার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে অন্তত, সমাবর্তন অল্প সময়ের মধ্যে করা দরকার।

সমাবর্তন নিয়ে জানতে চাইলে রাবি প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহ রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এমএ বারী বলেন, সমাবর্তন নিয়ে ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহান স্যার তিনি ইতিমধ্যে উপর মহলের সাথে কথা বলেছেন। তবে কবে কি করবেন বা কি ভাবছেন তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি।

 


ঢাকা, ১৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ