Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

কুবির বাসে হামলা: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৮, ২০:৫০

কুবি লাইভ: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রবিবার রাত ১২.৩০ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ভিসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে সোমবার সিদ্ধান্ত দিবে এমন আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ তুলে নেয়।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে রবিবার। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের তিনটি বাস ভাংচুরের শিকার হওয়ায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়। রবিবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসী হামলাকারীরা কুমিল্লা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসী বলে জানা যায়। হামলায় পুলিশের সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থীদের রক্ষা না করে বরং শিক্ষার্থীদের উপর রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে আহত শিক্ষার্থীরা জানান।

এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার আহবান জানিয়ে এ বিক্ষোভ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় পৌছালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস (কুমিল্লা স-১১-০০১১) থামাতে চালক আব্দুস সামাদকে নিদের্শ দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে কথা বলার সময় পেছন থেকে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা চালায়।

পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে রাস্তার এক পাশে জড়ো করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষকদের একটি বাস (কুমিল্লা স ১১-০০০৮), কর্মচারীদের একটি বাসসহ (কুমিল্লা ঝ-১১-০০১৪) বিআরটিসির ভাড়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা।

পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং পুলিশও মারধরে অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের তুলে এনে মারধর করা হয়।

মারধরের ঘটনায় আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রতিবর্তন’র সভাপতি ওয়াসি মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হঠাৎ বাস থামানো হয়। পুলিশ আমাদের মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বায়জিদ ইসলাম গল্প, সজিব দাস বাঁধন ও আমি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মারধরের ঘটনা জানতে চাই। তখন পুলিশ আমাদেরকে পুলিশ লাইনের ভিতরে নিয়ে মারধর করে।’

মারধরের সময় ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন বলে এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান। এবিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, ‘একটা বাসই শুধু ভাংচুর করা হয়েছে। আর আমরা সহনীয়মাত্রায় কাজ করি। অনেক কিছুই হয়ত শোনা যাবে।’ তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কুমিল্লা সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তবে তারা জানিয়েছে যে, তাদের কোন শিক্ষার্থী এ হামলায় জড়িত নয়।’ হামলায় পুলিশের অংশ গ্রহণের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।’

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে দায়ীদের আওতায় আনা এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন করার প্রতিবাদে ধিক্কার জানাচ্ছিল।

 


ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ