Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

পানি সংকটে ইবির হল, প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৮, ০০:৪২

ইবি লাইভ: হলে পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় এবং হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন সমাধানের ব্যবস্থা না করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা প্রকৌশল অফিস ঘেরাও করেছে। সেই সাথে আবাসিক হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছে তারা।

শনিবার প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী ঘেরাও কর্মসূচীর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রধান প্রকৌশলীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের ভিত্তিতে তা প্রত্যাহার করে ঐ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল নয়টায় কয়েক শতাধিক ছাত্রী হল থেকে বের প্রকৌশল অফিস ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস চলাচল থেমে যায়। ঘেরাও কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান আসলে ছাত্রীরা তার নিকট তাদের অভিযোগ সমূহ তুলে ধরেন।

ভুক্তভুগী ঐ ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে হলে পানির সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। হল কতৃপক্ষকে বার বার অবগত করার পরও প্রভোস্ট কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সাময়িক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

এসময় তারা আরো জানান, আমরা ওয়াসরুমে বা বাথরুমে গেলে পানি পাইনা। মাঝে মাঝে পানি আসলেও তা ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। এছাড়া প্রায়ই আমাদের রুম, বাথরুম গুলিতে বিষধর সাপ চলে আসে। আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারও বেশ নিম্নমানের।

এরকম নানা সমস্যায় জর্জরিত আমাদের হল। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে আমরা হল প্রভোস্ট কিংবা আবাসিক শিক্ষক কাউকেই পাশে পায়নি। এজন্য আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এমন অভিভাবক চাইনা। প্রশাসনের কাছে তাদের পদত্যাগ চাই।

পরে প্রক্টর ও প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুলের অতি সত্ত্বর সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা সকাল সাড়ে নয়টায় কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা জানান তাদের হলগুলিতেও পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষ করে সাদ্দাম হলের দক্ষিণ বøক, বঙ্গবন্ধু হলের আন্তর্জাতিক হলে এ সমস্যা বেশ প্রকট।

এবিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল ‘ক্যাম্পাস লাইভকে’ বলেন, ‘পানির একটু সমস্যা হচ্ছিল, পরে সেটি ঠিক করা হয়েছে। এসময় অন্যান্য হলের বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের পানি সরবরাহের মেইন লাইনটি বেশ পুরাতন হয়ে যাওয়ায় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে নতুন লাইন বসানো হচ্ছে। কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ। আশা করি ঈদের পর আর কোনো সমস্যা হবে না।’

এ বিষয়ে খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. অশোক কুমার চক্রবর্তী ‘ক্যাম্পাস লাইভকে’ বলেন, ‘পানি সমস্যা এক মাস থেকে কিনা আমার জানা নেই। আমি এক সপ্তাহ আগে বিষয়টি জেনে প্রকৌশল অফিসকে জানিয়েছিলাম। তারা ঠিক করে দিবে বলে জানিয়ে ছিলো। হলের অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এইসব সমস্যা সম্পর্কে আমি অবগত নয়। ছাত্রীরা আমাকে এসব বিষয়ে জানায়নি।’

প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান ‘ক্যাম্পাস লাইভকে’ বলেন, ‘ছাত্রীদের প্রকৌশল অফিস ঘেরাওয়ের সংবাদ শুনে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি তাৎক্ষণিক সেখানে হাজির হয়। পরে প্রধান প্রকৌশল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পানির সমস্যা সমাধানের আশ্বস্থ করলে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়।’

 

 


ঢাকা, ১২ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ