রাবি লাইভ: ‘আমরা দেখেছি বিশ্বের ৫ জন সৎ রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে, শেখ হাসিনা তিন নম্বর হয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বড় বড় কিছু পত্রিকা আছে যারা এগুলো দেখাননি (ছাপানো)। যেমন ডেইলি স্টার, প্রথম আলো এরা কিন্তু এগুলো লিখে না।
কারণ, এরা চায় চোরা পথে যেই ক্ষমতায় আসুক, শেখ হাসিনা যেনো না আসে।’ ‘মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ প্রকল্প’র আওতায় রাজশাহী অঞ্চলের ২৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভারত সরকারের বৃত্তির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে, বর্তমান সময়ে সংবাদপত্র গুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসব কথা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান।
রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১০টায় রাবির কেন্দ্রীয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই নগদ চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষার্থীদের ২০০৬ সাল থেকে এই বৃত্তি প্রদান করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবছর রাজশাহী অঞ্চলের ২৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে এই বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
যাদের মধ্যে বগুড়ার ১১২ জন, নাটোরের ১৩ জন, রাজশাহীর ৩১ জন, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১২ জন, নওগাঁ ৩৬ জন, জয়পুরহাট ১০ জন, সিরাজগঞ্জ ৩৪ জন, পাবনা থেকে ১৮ জন এই বৃত্তি লাভ করেছেন।
ভারতীয় হাই কমিশন রাজশাহী সূত্রে জানা যায়, স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছরের জন্য এককালীন ২৪ হাজার টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা ২০০৬ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর তা বাড়িয়ে আগামী বছর থেকে স্নাতকে ৫০ হাজার ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২০ হাজার টাকা করা হয়।
রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক এর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার আব্দুল মান্নান ও ভারতীয় হাই কমিশনের সচীব অজয় কুমার মিশ্র প্রমুখ।
ঢাকা, ১২ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: