গাজীপুর লাইভ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ অন্তত ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। বাকীদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করেন।
আসামিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফললে রাব্বি বাধন, সহ-সভাপতি নওয়াজীস খান তারিক, সাধারণ সম্পাদক মীর ওবায়দুর রহমান শাওন ও যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান আনসারী রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ইত্যাদি দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা ভিসি ও শিক্ষকদের হত্যার উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে ভবনের দ্বিতীয় ও নিচতলায় হামলা চালিয়ে ভিসি, রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারারের অফিস এবং দরজা জানালার কাচ ভাঙচুর করে। তারা ভিসির গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
এছাড়া তারা পুরাতন অডিটরিয়াম ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ভিসি এবং ট্রেজারারের রুমে ঢুকে তাদের হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় নিরাপত্তা সহকারী আইয়ুব আলী বাধা দিলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে। হামলা ও ভাঙচুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আসামিদের মধ্যে চারজন বহিরাগত।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, হামলার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে মামলার এজাহারভুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ফললে রাব্বি বাধন, সহ-সভাপতি নওয়াজীস খান তারিক, সাধারণ সম্পাদক মীর ওবায়দুর রহমান শাওন ও যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান আনসারী, ছাত্রলীগ নেতা সব্যসাচী দে সরকার ও মাহমুদুল নবী মাহিন এই ছয়জনকে বুধবার গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ৯ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: