কুয়েট লাইভ: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৮ জন কৃতি গ্রাজুয়েটের ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ তুলে দেন প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ।
মহামান্য প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বক্তব্যে বলেন, ‘এখন মোবাইলফোন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এ কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ বুধবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নিজেদের জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম এবং উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বমানের শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং নৈতিক মূল্যবোধসহ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দায়িত্বের প্রতি অতিব যত্নবান হতে হবে। সেই সাথে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে আজকের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে জ্ঞান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাকে অব্যহত ভাবে ধরে রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে জ্ঞানের সাগরে সাতার কাঁটতে হবে। যাতে করে আমরা আমাদের জাতিকে স্বশিক্ষিত জাতিতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হই।
সমাবর্তনে সর্বমোট ২ হাজার ৭শ ৯৫ জনকে স্নাতক ও ২শ ২৮ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) ২ হাজার ৬৫৭, বিইউআরপি ১৩৮, এমএসসি ৬৯, এমএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) ১০৩, এমফিল ৪৮ এবং ৮ জনকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ দেওয়া হয়।
উক্ত সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুলমান্নান।
এতে তিন অনুষদের ডিন স্ব-স্ব অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলরের কাছে উপস্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট ডিগ্রি প্রদান করেন। এ পর্যন্ত অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৬ হাজার ৬শ ৮৩ জনকে ডিগ্রি সনদ দেওয়া হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার লক্ষ্য অর্জনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাত্র তিনটি বিভাগ ১২০জন স্নাতক ছাত্র ও একজন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিদ্যাপীঠে এখন ১৮টি বিভাগ ০৩টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৬শ ৩৫ জন স্নাতক ও ১ হাজার ৭৩ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং ৮৯৩ জন ছাত্রী রয়েছে।
ঢাকা, ০৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: