জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত দেড়টার সময় অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন।
অভিযুক্ত আল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। এ বছরের ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
ওই ঘটনায় বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের সামনে থেকে নিপীড়নবিরোধী র্যালি বের করে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রকে মারধর করা হচ্ছে এমন খবরে প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে উপস্থিত হয়ে আল আমিনকে গণধোলাইয়ের হাত থেকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন লিখিত বক্তব্যে জানান, ‘শ্লীলতাহানির অভিযোগকারী ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের তৃতীয় দিন, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনের মাঠে তাদের প্রথম দেখা হয়। এ সময় আল আমিন সেই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব দেয়ার পরপরই শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে ছাত্রীটি তাকে বাধা দেয়।
এরপর পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটি আল আমিনকে ফোন করে পুনরায় তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দেখা করতে এলে সেই ছাত্রীর সঙ্গে থাকা বিভাগের সহপাঠী এবং সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে।’
আল আমিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, 'আল আমিন একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। যেহেতু ঘটনাটি যৌন নিপীড়নের পর্যায়ে পড়ে সেহেতু এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী যে সেল রয়েছে তারাই দেখবে।
ঢাকা, ০৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: