Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

কলেজ প্রিন্সিপালকে সভাপতির মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০১৮, ০৪:০৯

শেরপুর লাইভ: জমসেদ আলী মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম রেজাকে ওই কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল এবং তার ভাতিজা শাকিলের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ করেছেন প্রিন্সিপাল। কলেজ কমিটি’র সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা মিনালের প্রয়াত বাবা জমসেদ আলীর নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত।

মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। প্রিন্সিপাল রেজা বর্তমানে আহত অবস্থায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দায়িত্বরত ডা: খন্দকার মাহফুজ বলেন, বিকাল ৩টায় ওই শিক্ষককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

প্রিন্সিপাল কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করলে সভাপতি কিছুই জানেন না বলে উল্টো প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা দূনীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, বেশ কিছু শিক্ষার্থী প্রিন্সিপালের জন্য এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফরম পূরণ করতে পারেনি। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার প্রিন্সিপালকে কলেজে পেয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।

প্রিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম রেজা বলেন, মঙ্গলবার সকালে কলেজের পিয়ন শহিদ আমাকে জানায় কলেজের সভাপতি মিনাল কলেজে আসছেন। সভাপতি আমাকে কলেজে ডেকেছেন বলে পিয়ন আমাকে কলেজে আসতে বলে। যেহেতু কলেজ বন্ধ তাই সকাল ১১টায় কলেজে যাই।

আমি চেয়ারে বসা মাত্রই সভাপতি মাটর সাইকেলে কলেজে প্রবেশ করে আমাকে ভাইস-প্রিন্সিপালের অফিসে ডেকে নেয় এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দিতে বলে।

আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুইটি সাদা কাগজে বের করে দিয়ে প্রিন্সিপালের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলে অথবা ৫০ লক্ষ টাকার মোচলিকা দিতে বলে। আমি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে সভাপতি উত্তেজিত হয়ে আমাকে প্রহার করতে থাকে।

এরপরে সভাপতির ভাতিজা শাকিল কলেজে থাকা কয়েকজন শিক্ষককে বের করে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে চাচা ভাতিজা মিলে প্রহার করে। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে আমাকে রক্ষা করে। প্রিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম রেজা আরও বলেন, সভাপতি মিনাল ও তার ভাতিজা শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

এদিকে কলেজের একটি বিশেষ সূত্র জান যায়, কলেজের নিয়োগ সংক্রান্ত টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি প্রিন্সিপালের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানা যায়।

২০১০ সালে প্রিন্সিপাল কলেজে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের ১০ জুন প্রিন্সিপালকে সাপেন্ড করা হয়। প্রিন্সিপাল দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে স্বপদে ফিরেন।

 

 

ঢাকা, ০৩ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ