চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক খালেদা জিয়া হলের প্রভোষ্টকে অফিস কক্ষের ভিতরে রেখে মূলফটকে বাইরে থেকে তালা দিয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। দুই আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগ ও হলের আবাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দাবিতে তাদের এ আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বাংলা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন এ্যানিকে ছাত্রী সংস্থার কর্মী বলে হলের আবাসিক সিট বাতিল করেন হলের আবাসিক শিক্ষক রুনা সাহা। পরবর্তীতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রভোষ্টর সঙ্গে কথা বললে তার সিট পরিবর্তন করে অন্য কক্ষে দেওয়া হয়। ফারজানার মতো এমন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে আবাসিক সিট বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার নিয়ে বারবার প্রভেষ্টের কাছে গেলে তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি।
পরবর্তীতে রবিবার রাত ৮ টায় হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থী মিলে হলের মূলফটকসহ হলের প্রভোষ্টকে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন হলের আবাসিক শিক্ষক জিয়াউর রহমান।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের আবাসিক শিক্ষক রুনা সাহা ও জিয়াউর রহমান খান নিজেদের ইচ্ছেমতো হলের সিট পরিবর্তন ও তাদের পরিচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ম ছাড়াই সিট বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও হলের সিট পরিবর্তনের জন্য কোন শিক্ষার্থী আবেদন মঞ্জুর না করে তাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন।
আন্দোলন চলাকালে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুজাদা খানম বলেন, আমাদের হলে মাত্র ৪০০ সিট। তবু আমরা হাজারের অধিক শিক্ষার্থী বাস করি। আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা হয়। কিন্তু সেই সমস্যার কথা আবাসিক শিক্ষকদের বললে তারা কোন ধরনের সমাধান করেন না। যেহেতু হলের সমস্যা সমাধান করতে পারে না তাই তাদের পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা।
এ বিষয়ে হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর ড. আবুল কাসেম বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি ও হলের আবাসিক শিক্ষকদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে হলের মুলফটকে তালা দিয়েছিল। আমরা তাদের দাবি নিয়ে সোমবার প্রক্টর অফিসে আলোচনা করব।
আন্দোলনের মুখে আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, আমরা তাদের দাবি শুনেছি। তবে এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যা অনেক দিন থেকে চলে আসছিল। আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করব এবং এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
ঢাকা, ০২ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: