চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে প্রফেসর ড. কামরুল হুদাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন থেকে প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগে অব্যাহতি চেয়ে ভিসিকে চিঠি দেন তিনি। যা রববিবার গ্রহণ করেন ভিসি। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবি ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রফেসর ড. কামরুল সরকারি একটি প্রজেক্টে কাজ পেয়েছেন। এছাড়া তার অধীনে তিন গবেষক পিএইচডি ও এমফিল করছেন। ফলে রেজিস্ট্রার পদে থাকায় তিনি সেখানে সময় দিতে পারছেন না। অনেক দিন থেকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে অনুরোধ করছিলেন। তাই আজ তাকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
বিদায়ী রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদার সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গবেষণা ও একাডেমিক কাজে যুক্ত হতে দায়িত্বে অব্যাহতি চেয়েছি। তা গ্রহণ করেছেন ভিসি। আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিব। এ সময় তিনি আগামী মাসে গবেষণার কাজে বিদেশ যাবার কথাও জানান।
এদিকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার একেএম নুর আহমদকে 'ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার' পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভিসি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল থাকবেন বলেও জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকেই ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক রেজিস্ট্রার পদটি। গত ২৩ বছর ধরে যেনো ভারমুক্ত হচ্ছে না এ পদটি।
সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে নিয়মিত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব থেকে অবসর নেন আবদুর রশিদ। এরপর থেকে রেজিস্ট্রার পদে পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ দেয়া হয়নি। এর আগে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী ও প্রফেসর মো. সফিউল আলমও ছিলেন ভারপ্রাপ্ত।
এদিকে স্থায়ীভাবে কেন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, এমন প্রশ্নে চবি ভিসি বলেন, বিজ্ঞাপন দিলেও যোগ্য লোক পাওয়া যায় না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। শিক্ষকরা থাকলে কাজ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে যারা আছেন তারা ওই মাপের নয় যে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে। তাই নতুন করে কাউকে নিয়োগ নয়, ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চালাতে চাই।
এক্ষেত্রে বর্তমানে দায়িত্ব পাওয়া রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে কি-না, এমন প্রশ্নে ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সে আগেও এই কাজে ছিল। তাছাড়া তার অ্যাসিট্যান্ট আছেন। দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবে। অসুবিধা হবে না। সিনিয়র ডেপুটি রেজিস্ট্রার সে, তারও তো একটা আশা থাকে। দেখি না কেমন চালায়।
ঢাকা, ১ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: