Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

"মানসিকতায় তরুণ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ"

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৮, ০১:৪৯

লাইভ প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে শিক্ষক, অভিভাবক, গণমাধ্যম ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে এবং প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার আগে ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন প্রকাশ করে প্রচারণা চালানো হয়। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের খাম খোলা হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারকে ছোট করার জন্য জাতিকে হতাশ করে এমন প্রচার না করার আহ্বান জানান তিনি।

লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা পড়াশুনায় ভালো করছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও জেন্ডার সমতা অর্জিত হবে।’ তিনি বলেন, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের উন্নয়নে মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানটি এক সময় টাকার অভাবে চলছিল না তার এখন প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা সঞ্চয়। এটি ভাবতেই ভাল লাগে যে, কলেজটি এরইমধ্যে শিক্ষা পরিবারে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। পরে শিক্ষামন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও ঢাকা সাইক্লিং স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি জোবেরা রহমান লিনু, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কলেজের প্রধান সহকারী মো. শাহজাহান আলী বলেন, বর্তমানে স্মাতক পর্যায়ে ১৭টি ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১৮টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া বিবিএ প্রোফেশনাল, প্রোফেশনাল ডিপ্লোমা ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিসহ মোট ৮ হাজার ৬শ শিক্ষার্থী। বিপরীতে ১৫৩ জন শিক্ষক ও ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। মোট ১ হাজার ৮০ জনের মত শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে তিনটি হোস্টেলে। যারা খুব সামান্য খরচে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে।

মাত্র চার একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটিতে অবকাঠামোগত সুবিধা প্রায় পূর্ণ। গত ক’বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ সুযোগ পাচ্ছে-জানান শাহজাহান আলী।

তিনি আরো জানান, এ কলেজে পড়ালেখায় খরচ খুব বেশি নয়। তারওপর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এখানে রয়েছে বিনামূল্য ও আংশিকমূল্যে পড়ালেখার সুযোগ। এবার থেকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় যারা বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম হবে তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে তারা অর্ধেক মূল্যে পড়ালেখা করতে পারবে।

কলেজটির সাম্প্রতিক অর্জনে প্রশংসা শোনা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের কাছ থেকেও। বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, লালমাটিয়া মহিলা কলেজটি রাজধানীর নারী শিক্ষার অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

১৯৯১ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এ কলেজটি গেল ক’বছর আগে বেশ পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৬ বছর আগে নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও নতুন প্রিন্সিপাল কাজ শুরুর পর থেকে এটি তার পুরনো গৌরব ধীরে ধীরে ফিরে পেতে শুরু করেছে। এখন এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন র‌্যাংকিংয়ে সেরা দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

এ সময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসটি এক কথায় নিখুঁত সৌন্দর্যের রেপ্লিকা। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মশাল দৌড়, শরীর চর্চা প্রদর্শনী, ডিসপ্লের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ কলেজেরই সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ জোবেরা রহমান লিনু।

তিনি বলেন, আমি যখন এ কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করে বের হই তখন আমি ২১ বছরের একজন তরুণী। আজ আমি ৫৪ বছরের একজন বৃদ্ধা। তবে আমি নিজেকে বৃদ্ধা বলতে চাই না। কেননা আমি মানসিকতায় এখনও তরুণীই আছি। মানসিকতায় তরুণ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তোমরা যারা এ কলেজে পড়ছ তাদের একথা মনে রাখতে হবে যে, কেবল একজন নারীই নয়, একজন সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্যই শিক্ষার প্রয়োজন। এ সময় তিনি তার সময়ের কয়েকজন শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করেও তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

 

 

ঢাকা, ২৯ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ