রাবি লাইভ: যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২:১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ও প্রো-ভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেখানে তাঁরা অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক লেকচারার কুমার কর্মকার ও প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, হলসমূহের প্রাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের পর সেখানে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৬:৩০টায় বিভিন্ন আবাসিক হল, ইনস্টিটিউট, বিভাগ, অন্যান্য পেশাজীবী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৮:৪৫টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে ও সকাল ৯টায় রাবি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময় রাবি অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির নিজ নিজ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮:৩০টায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ডের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯:৩০টায় সাবাস বাংলাদেশ মাঠে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ভিসি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বেলা ১০:৩০টায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ এবং প্রীতি হ্যান্ডবল ও ভলিবল ম্যাচ।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও হল মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত, বিকেল ৫:৩০টায় প্রশাসন ভবন-১ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, সন্ধ্যা ৭টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা ছিল। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করে।
ঢাকা, ২৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: