Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী প্রহৃত

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৮, ০১:৪৬

ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে নিজ সংগঠনেরই এক নেতাকে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে লাথি ও মারাত্মকভাবে মারধর করেছেন হলটির অন্য দুই নেতা। সালাম না দেয়ার অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা হলেন, হলটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপসাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হাসান গাজী। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর মারধরকারীরা হলেন, হল শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার মন্ডল (বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ) ও অর্থ সম্পাদক সেলিম রেজা (রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ)। এরা দু’জনই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সালাম না দেয়ার অজুহাতে হাসান গাজীকে গতকাল রাতে হলটির গেস্টরুমে ডাকেন কাউসার ও সেলিম। এসময় তার কাছে সালাম না দেয়ার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। ব্যাখ্যা পছন্দ না হওয়ায় এক পর্যায়ে হাসান গাজীকে টর্চার শুরু করে তারা। লাথি দেয়া হয় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে। নির্দেশনা দেয়া হয় হল থেকে বের হয়ে যেতে।

এদিকে মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থান ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি করেছেন তার বন্ধুরা। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক নয়। তিনি তলপেট ও পুরুষাঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছেন। এমনকি প্রশ্রাবেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় তার বন্ধুরা।

ডাক্তার ওই শিক্ষার্থীকে ইউএসজি করাতে বলেছে এবং রির্পোট পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে বন্ধুদের জানিয়েছেন। এদিকে হলটির একাধিক নেতা বলেন, মূলত আঞ্চলিকতার জের ধরে এ মারধর হয়েছে। মারধরকারি কাউসার মন্ডলের বাড়ী জামালপুর, আর সেলিম রেজার বাড়ী জয়পুরহাট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, আমি বিষয়টি গত রাতেই জেনেছি। ভুক্তভোগীর চিকিৎসাসহ সব খোঁজ রাখছি। যারা এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আমি শুনেছি যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। যারা দোষী হবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হল প্রাধ্যক্ষ কেএম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, গতরাত থেকেই আমার হলের সিট বয়েরা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ছাত্র নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। রাতে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে হল থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ