Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

"মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে"

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৮, ২২:৩১

ইবি লাইভ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গণহত্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যা। কিন্তু আমরা এ হত্যার কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলাম না।

আজকে স্বাধীনতার ৪৭ বছরের পথে দাঁড়িয়ে আমরা সকল আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দাবি জানাতে চাই এই গণহত্যার আন্তর্র্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে এবং পাকিস্তান যে অন্যায় করেছে তা স্বীকার করে বাঙ্গালী জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

শনিবার দুপুর ১টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছি। আমরা একটা মর্যাদার জায়গায় গিয়েছি। এখন আর এই বাংলাকে নিয়ে কেউ তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করার সাহস রাখবে না। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করতে চাই।

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান ও বাংলা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. তিয়াশা চাকমার সঞ্চালনায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আব্দুল হাই, প্রো-ভিসি ড. মো: শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সেলিম তোহা। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপ-কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি মো: আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে চিনল না সে পরিপূর্ন বাঙ্গালী হতে পারলো না। বঙ্গবন্ধু যতবার আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে তার কোনটায় ব্যত্যয় ঘটেনি এবং যার চুড়ান্ত সফলতা তিনি পেয়েছেন ’৭১-র মার্চে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: হারুন-উর-রশিদ আসকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যারা সৈনিক, তারা মেধায়-মননে, রাজনৈতিক চর্চা, সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণায় অন্য সকল জনশক্তির চাইতে অগ্রসর থাকবে এবং অবসর সময়টাকে অলাভজনক কাজে ব্যয় না করে মেধা, জ্ঞান চর্চা এবং গবেষণায় লিপ্ত থেকে একটা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

এর আগে বেলা সাড়ে এগারোটায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম। এসময় সাড়ে ১২০০ আসন বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মিলনায়তন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নের্তৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাাদক জুয়েল রানা হালিমসহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।

 


ঢাকা, ২৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ