Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জাবিতে গোপন সম্পর্ক, শিক্ষক বানাতে ছাত্রীকে অনৈতিক সুবিধা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৮, ০০:৪৩

জাবি লাইভ: গোপন ও বিশেষ সম্পর্কের সূত্র ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। লোক প্রশাসন বিভাগের ওই ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

অনৈতিক সুবিধা দিয়ে জাবির ওই ছাত্রীকে মাস্টার্সের ফলাফলে প্রথম স্থান অর্জনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হয়ে এমন সুবিধা করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জাবি ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের ৪১তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানাতেই অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক একই বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. নুরুল আমিন।

অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের ওই ছাত্রীকে মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯৭ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি ওই বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফল। অথচ অনার্সে ওই ছাত্রীর সিজিপিএ ছিল ৩.৫১।

অভিযোগ পত্রে ওই বিভাগের ৬ষ্ঠ বাচের ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লেখ করেন, লোক প্রশাসন বিভাগের সম্প্রতি প্রকাশিত মাস্টার্সের ফলাফল নিয়ে আমারা সন্তুষ্ট নই। পরীক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে আমরা কিছু অসংগতি খুঁজে পেয়েছি।

তাদের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য মাস্টার্সের ফলাফল তড়িঘড়ি করে ৬৯ দিনের মাথায় ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে আবেদনের শেষ দিন। ওই স্যারের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীই শুধুমাত্র শিক্ষক পদে আবেদন করতে পেরেছেন।

ওই ছাত্রীর শরীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কারো সাথে কোন পরামর্শ বা বৈঠক না করেই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন পিএ-৫০৩ নং কোর্সের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই দিন কাফি অসুস্থ ছিলনা। বরং ওই কোর্সের পরীক্ষায় জন্য তার প্রস্তুতি ছিলনা বলে তিনি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে পরীক্ষা পেছাতে বলে ছিলেন।

মাস্টার্সের থিসিস গ্রুপের মৌখিক পরীক্ষায় শুধুমাত্র ওই ছাত্রীকেই এ+ মার্ক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০১ নং কোর্সে নুরুল আমিন বহি:স্থ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই কোর্সেও শুধু ওই ছাত্রীই এ+ পেয়েছেন। থিসিস পেপার মূল্যায়নে স্বচ্ছতার জন্য থিসিস পেপারে শিক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম না থাকলেও ওই ছাত্রীর নাম থিসিস পেপারের উলে­খ ছিল বলে অভিযোগ গ্রুপের অন্য শিক্ষার্থীদের।

তারা আরো অভিযোগ করেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. নুরুল আমিনের বিশেষ গোপন সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে লোক-প্রশাসন বিভাগের সভাপতি এসোসিয়েট প্রফেসর ড. জেবউনন্নেছা বলেন, পরীক্ষা কমিটির সদস্য না হওয়ায় এ বিষয়ে আমি অবগত নই।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এসোসিয়েট প্রফেসর ড. নরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই ছাত্রী ৫০১ নং কোর্স ও ভাইভাতে ভালো করেছে তাই সে এ+ পেয়েছে। এছাড়া বহি:স্থ শিক্ষকদের কাছে প্রেরিত থিসিস পেপারে ওই ছাত্রীর নাম ছিল না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, একটি চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক অভিযোগ তুলেছে। তবে আমার জায়গায় আমি সৎ ও দক্ষতার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

জাবি ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, লোক-প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের পরীক্ষার অনিয়মের কথা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উলে­খ করেন তিনি।

 

ঢাকা, ০৯ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ