সিকৃবি লাইভ: ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশ্বের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) দিনটি উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে একটি কেক কাটার মাধ্যমে দিনটি শুরু করেন সিকৃবির নারী কর্মকর্তাবৃন্দ।
এডিশনাল রেজিস্ট্রার ফাতেহা শিরীনের উদ্যোগে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেজিস্ট্রার মো: বদরুল ইসলাম ইসলাম, এডিশনাল রেজিস্ট্রার ডা: খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, সাবেক অর্থ পরিচালক প্রফেসর জীবন কৃষ্ণ সাহা, সহকারী রেজিস্ট্রার নুসরাত জাহান তানিয়া, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আসমা পারভীন, শিক্ষা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামরুন নাহার, পরিষদ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: নাবিলা ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার শারমিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. সুলতানা বিলকিস, মেডিক্যাল অফিসার ডা: রায়হানা হক প্রমুখ।
কেক কাটা শেষে দুস্থ নারীদের মাঝে অর্থ সাহায্য বিলি করেন উদ্যোক্তারা। পরবর্তীতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব; যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক।
বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।
উল্লেখ্য ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। তাঁদের ওপরে দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পরে ১৯০৮ সালে জার্মান
সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করছে। তখন থেকেই বিভিন্ন দেশে নারীর সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করে দিবসটি পালন শুরু হয়।
ঢাকা, ০৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: