ইবি লাইভ: আসন পূর্ণ করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিশেষ কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিল করেছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় ৪০শতাংশের পরিবর্তে ৩৩ শতাংশ নম্বার পেলেই ভর্তি হতে পারছে কোটাধারীরা। বুধবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফসহ সকল অনুষদের ডিন ও বিভাগের সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বে কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৩২ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু শর্ত শিথিল করে ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ ২৬.৪০ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এই শর্ত শিথিল শুধু ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য।
এদিকে এবছরও শর্ত শিথিল করায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছরই কিছু সুবিধাভোগীর জন্য শর্ত শিথিল করে কোটায় ভর্তি করানো হয়। শর্ত শিথিল করে ভর্তি করানো এসব শিক্ষার্থীরা অচিরেই ঝরে পড়ে বিভাগের বোঝায় পরিণত হয়। তাদের অনেকে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জাড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘শর্ত শিথিল করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির একটি দাবি ছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ২৬ নম্বর রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা, খেলোয়াড় কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ৩২ নম্বর থাকার কারনে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই আসন পূরণের জন্য আমরা আলোচনা সাপেক্ষে শর্ত শিথিল করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তিতে বিষয়টি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং এ বিষয়ে কোন ধরনের এদিক ওদিক করা হবে না।
ঢাকা, ০৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: