রাবি লাইভ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ র্যালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবন সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় র্যালিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর এমএ বারী, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, অনুষদের অধিকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিবৃন্দ এবং আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এর আগে ভিসি ও প্রো-ভিসি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, , বাঙালি জাতির ইতিহাসের কালজয়ী ভাষণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ।
এই ভাষণ ২৪ বছর পাকিস্তানী শোষণ-নিপীড়নে পিষ্ট জাতিকে তার ভাগ্য পরিবর্তনে অনুপ্রাণিত করে মুক্তিকামী বাঙালিতে রূপান্তরিত করে। এর মধ্য দিয়েই ভাষণটি বাঙালি জাতির ভাগ্য বদলের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠে।
রাজনীতি, ধর্ম বা সমাজ গঠনে বিশ্বের সফল নেতাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে অবিস্মরণীয় এক বা একাধিক ভাষণ। তেমনি পরাধীন বাঙালির জাতির ভাগ্যের বাঁক বদলে আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলো ৭ই মার্চের ভাষণ। এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে যেমনি বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করা হয়েছে তেমনি বাঙালি জাতির কাছেও ইউনেস্কো সম্মানিত হয়েছে।
শেষে প্রো-ভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে র্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ঢাকা, ০৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: