Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জাককানইবিতে “ব্যাথার দান” বেহাল অবস্থা!

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০১৮, ২১:০৮

জাককানইবি লাইভ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টি বিভাগ শিক্ষার্থী সংখ্যা ছয় হাজারের অধিক এবং শিক্ষক দেড়শ, আরও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী। বিপুল এই জনবলের চিকিৎসা সেবা প্রদান খুবই জরুরী একটা বিষয়।

কিন্তু ডাক্তার স্বল্পতা, ঔষধ সংকট, প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট না থাকাসহ শুক্রবার ও শনিবার মেডিকেল সেন্টার বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। ২৪ ঘন্টা মেডিকেল খোলা না থাকায় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের “ব্যাথার দান” মেডিক্যাল সেন্টার।

ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, রাত্র আটটার পর থাকেন না কোনো চিকিৎসক। শুক্রবার ও শনিবার সর্বক্ষণ বন্ধ থাকে ব্যাথার দান। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় রোগীদের। এসব বিষয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। কোনো মাথাব্যাথা নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এক প্রকার উদাসীনতা আর খামখেয়ালিপনায় চলছে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাথার দান মেডিকেল সেন্টারটি।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাথার দান মেডিকেল সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, নানা অবহেলার চিত্র। মেডিকেলে প্রবেশ গেইটের সাথেই থাকে ওজন মাপার মেশিন, কিন্তু সেটা দিয়ে আদৌ ওজন মাপা যায়না, সর্বক্ষণ অকেজো থাকে ওজন মাপার মেশিনটি। মেডিকেলে চার থেকে পাঁচজন জন রোগী অপেক্ষায় আছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর রোগীদের কাছ থেকে পাওয়া গেল প্রয়োজনীয় ঔষধ না থাকার আক্ষেপ।

ব্যাথার দান মেডিকেল সেন্টারে জরুরী রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য জরুরী ওয়ার্ড না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য তেমন কোন যন্ত্রপাতি নেই। অপরদিকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলোরও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।

ব্যাথার দান মেডিকেল সেন্টারে সর্বক্ষণিক রোগী পরিবহনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না, ফলে রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও রোগ নির্ণয়ের জন্য নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে বেগ পেতে হচ্ছে রোগীদের। উন্নত যন্ত্রপাতির অভাবে গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদানে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।

এছাড়াও, প্যাথলজি ইউনিট, ফার্মাসিটিক্যাল ইউনিট, মেশিন, ল্যাব, এক্স-রে মেশিন, চোখের সমস্যা, ব্লাডের সমস্যা, পেটের গুরুতর পিড়া, জন্ডিস, ডেক্সগুজ্বরের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসার জন্য নেই যন্ত্রপাতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স আ্যন্ড ব্যাংকিং বিভাগের হাবিবুর রহমান জীবন জানান, সব রোগের একি ঔষধ, আর তা হল নাপা, এলাট্রল। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নিলয় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ব্যাথার দান নামে মাত্র মেডিকেল সেন্টার।

"ব্যাথার দান" আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টার। জরুরি মুহূর্তে ডাক্তার না থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। বাংলা বিভাগের রায়হান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে দেখে আসছি ডাক্তার মোটামুটি ভাবে দেখে ওষুধের স্লিপ হাতে ধরিয়ে দেন, ঔষধ চাইলে বলে ঔষধ নেই। বাহির থেকে কিনে নিবেন।

তাই উধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটির উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এছাড়া একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার দশ দিনের ঔষধ লিখে দিলে, মেডিকেল থেকে দেওয়া হয় দুই-তিনের দিনের ট্যাবলেট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মেডিক্যাল কর্মকর্তা জানান, মেডিকেলের জন্য বাজেট খুবই সীমিত। যা বাজেট হয় তা দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমানের ঔষধ এবং উন্নত যন্ত্রপাতি ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঔষধ দিতে কোনো ধরনের অবহেলা করা হয় না। কিছু কিছু ঔষধ এখানে থাকে না, যার জন্য বাহির থেকে ক্রয় করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান, আমরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 


ঢাকা, ০৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ