সাতক্ষীরা লাইভ: সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দমুখর পরিবেশে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ক্রীড়ামোদী শিক্ষাঙ্গণ সবার পাবে অভিনন্দন’ শ্লোগানে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিদিনের মতো স্বভাবিকভাবে সূর্য উঠলেও রবিবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ। সকাল ১০টায় সরকারি কলেজ মাঠে বেলুন, ফেস্টুন এবং শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার
উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বাস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর এমএম আফজাল হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘‘লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলা-ধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনকে বিকাশিত করে। আজকের তরুণরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। এজন্য মনে রাখতে হবে, তোমরা যেন কখনো মাদকাসক্ত না হও। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে তোমাদের পিছিয়ে পড়লে চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তোমাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আজকে যারা বিজয়ী হতে পারোনি, তাদের মন খারাপ না করে আগামী দিনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলো। এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি
আরো বলেন, বিশ্বের ‘ক্রীড়াঙ্গণে’ সাতক্ষীরা জেলার নামটি সৌম্য, মোস্তাফিজ ও সাবিনাসহ অনেকেই উজ্জল করেছে। ক্রীড়াবীদদের সুবিধার্থে শিগ্রই একটি ‘ক্রীড়া কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হবে।
যাতে আগামী দিনে জাতীয় ক্রিকেট দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই সাতক্ষীরার হতে পারে।
সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণের দাবী দক্ষিণাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠটি ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে পরিণত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আমানউল্লাহ আল হাদী, প্রফেসর আবু হাশেম, প্রফেসর জিয়াউর রহমান, লেকচারার আবুল কালাম আজাদ, নিগার সুলতানা, মফিজুল ইসলাম, অরুণাংশু কুমার বিশ্বাস, লেকচারার শাহিনুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের লেকচারার আবুল কালাম আজাদসহ কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সুধীজন।
ঢাকা, ০৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: