ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সোসিওলজি বিভাগের এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন শনিবার টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি সোসিওলজি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী প্রাণের মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর টিএসসি অডিটোরিয়ামে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।
১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মো. শাহাজাহান। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। কলা ভবন, মধুর ক্যান্টিন টিএসসিসহ সবখানে রয়েছে অজস্র স্মৃতি। শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি করেছেন সরকারি সংস্থায়।
ব্যস্ততার কারণে পুরনো দিনের বন্ধুদের সঙ্গে তেমন দেখা হত না। এখন অবসরে যাওয়া শাহাজাহানের স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে সেই সোনালী সময়গুলো। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিজ বিভাগের পুনর্মিলনীতে এসে খুঁজে পেয়েছেন ব্যাচের তিন বন্ধুদের। টিএসসির মাঠে তৈরিকৃত আনন্দমুখর আড্ডা ও স্মৃতিচারণ মঞ্চে দিয়েছেন প্রাণখুলে আড্ডা।
এসময় তিনি বলেন, ক্যাম্পাস জীবনের অনেক স্মৃতিকে এখন মিস করি। আমার মনে হচ্ছে আজকে সেই ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। তবে সব বন্ধুদের একসঙ্গে না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে তার।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি একে আজাদ চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর কেএএম সাদ উদ্দীন, বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নেহাল করিম, বিভাগের প্রবীণ ছাত্র আসফ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণের মেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ফারুখ হোসাইন।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস আমাদের জন্মের মাস। এ মাসেই আমাদের প্রাণের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ভালোবাসার জায়গা। আমরা চাই সবাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাশে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহায়তা নিয়ে সবার এগিয়ে আসা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল অক্সফোর্ডের আদলে। কিন্তু গবেষণা কর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে হিসেবে সহায়তা করা হয় না। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে আমাদের এ দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। গবেষণার কাজ চালু করলে শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে। এটি এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা, ০৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: