রাবি লাইভ: প্রাথমিক অবস্থায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অল্প ফলাফল ধারীরা এমফিল ও পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারতো। কিন্তু পরবর্তীতে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তিতে শর্ত কঠিন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ফলে এর পর থেকেই কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। যদিও এর আগে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা ছিল দ্বীগুন। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, ইচ্ছে থাকলেও যোগ্যতা না থাকাই ভর্তি হতে পারছেন না অনেকে। আর শর্ত কঠিনে উচ্চতর গবেষণায় শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণার পথ সুগম হচ্ছেনা বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডিতে ভর্তির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে। ঐ বর্ষে এমফিলে ভর্তি হয়েছিলেন ১১৯ শিক্ষার্থী ও পিএইচডিতে ভর্তি হয়েছিলেন ৫২ শিক্ষার্থী।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, শর্ত কঠিন করার আগমুহুর্ত পর্যন্ত ২০১৫-১৬ তে এমফিল ১১৬, পিএইচডি ৫১ জন। শর্ত কঠিনের বছর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে কমেছে শিক্ষার্থী। সে হিসাবে একবছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গবেষণায অংশগ্রহনের হার কমেছে ৫৮ শতাংশ। ভর্তি হয়েছেন পূর্বের তুলনায় প্রায় তিন ভাগের একভাগ।
পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমফিল ও পিএইচডিতে ভর্তির শর্ত ছিল এসএসসি ও এইচএসসিতে ৩.০০ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের দুইটির যেকোন একটিতে ৩.২৫ ও অন্যটিতে ৩.০০ থাকতে হবে।
তবে বর্তমানে তা বাড়িয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে ৪.২৫ ও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কলা/ সামাজিক বিজ্ঞান/ চারুকলা অনুষদের জন্য দুইটির একটিতে নূন্যতম ৩.২৫ ও একটিতে ৩.০০, আইন/ বিজ্ঞানের অনুষদগুলোতে দুইটিতেই ৩.২৫ এবং এমবিবিএস/বিডিএস শিক্ষার্থীদের জন্য ৩.৫০ করা হয়েছে।
এব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জহুরুল মুন বলেন, একই ফলাফলে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতে বা বিদেশে উচ্চতর গবেষণায় যে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত কঠিনের কারণে একই শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হতে পারেন না। ইচ্ছা থাকলেও যোগ্যতায় না মেলায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি। শিক্ষার্থী বাড়াতে শর্ত শিথিলের জোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব বায়োলোজিক্যাল সায়েন্সের পরিচালক প্রফেসর মনজুর হোসেন বলেন, ভর্তির যোগ্যতা কঠিন করায় শিক্ষার্থী হারাচ্ছি। বিষয়টি উদ্বেগের। যেখানে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন শিক্ষার্থী না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছেনা। এনিয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা হয়েছে। ভিসিও চেয়েছেন শর্ত শিথিল করা প্রয়োজন। শর্ত শিথিল হলে শিক্ষার্থী বাড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন।
যদিও সাবেক প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবেষণার মান রক্ষার্থে শর্ত কঠিন করা হয়। যাতে নিম্ন মানের গবেষণা না হয় বিশ্ববিদ্যাল থেকে।
ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: