Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভঙচুরের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানব বন্ধন

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৮, ০০:০৫

ঢাবি লাইভ: ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভঙচুর এবং ভিসির সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানব বন্ধন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত রবিবার সকাল ১১টায় এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, গত ২৩ জানুয়ারি ভিসির কার্যালয়ে সংঘটিত ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণের ষড়যন্ত্রের অংশ। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

২৩ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে। প্রশাসনিক ভবনের ৩টি গেট ভেঙে উপাচার্যের কক্ষের সামনে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা প্রায় ৫ ঘণ্টা উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বিকেলের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ভিসিকে ‘উদ্ধার’ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর মো. সামাদ প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, প্রফেসর ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, প্রফেসর ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, প্রফেসর ড. জিয়াউর রহমান, প্রফেসর জিনাত হুদা, প্রফেসর ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, আইন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।

সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কেন ডাকা হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাকসুদ কামাল বলেন, ক্যাম্পাসের কালচার হলো পুলিশ আসলে তখন স্লোগান দেবে- ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব দাও। এ জন্য শিক্ষক-ছাত্র মিলে আমরা সমাধান করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

প্রফেসর মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বেপরোয়া যে মনোভাব, তাতে ধারণা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে ভেতর থেকে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। তাই আমরা এটাকে বাস্তবায়ন হতে দেব না।

প্রফেসর কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, দাবি-দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দিতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছিলাম, আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে। কিন্তু ছাত্রদের মধ্যে থেকে কোনো প্রতিনিধি আসেনি। তাদের দাবি ছিল ভিসিকে তাদের সামনে এসে দাবির ব্যাপারে ঘোষণা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নিয়মনীতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। ছাত্র কিংবা বহিরাগত যারা ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সাদেকা হালিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি নিপীড়নের যে অভিযোগ এসেছে সেটির ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখেছি। যদি এমন হয়ে থাকে সেটিরও আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সে ঘটনার বিচার করতে হলে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত সে ধরনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।

 

 

ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ