বাকৃবি লাইভ: জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণি ও উদ্ভিদের রোগ বৃদ্ধি, উৎপাদন ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করাই হবে ভবিষ্যত কৃষির অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে কৃষি ভিত্তিক নীতিমালা থাকলে তার বাস্তবায়ন না থাকাটাও আমাদের ভবিষ্যৎ কৃষির অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত ইন্ট্যারন্যাশনাল কনফারেন্স অন চ্যালেঞ্জেজ ফর ফিউচার অ্যাগ্রিকালচার (আইসিসিএফএ) শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর ।
প্রগ্রেসিভ অ্যাগ্রিকলচারিস্টের আয়োজনে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। দুই দিন ব্যাপি এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সুদান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইথিওপিয়া থেকে আগত প্রায় অর্ধশত বিজ্ঞানী মোট ১৫০ টি বৈজ্ঞানিক পেপার উপস্থাপন করবেন।
সম্মেলনের বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপেিতত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব প্রফেসর ড. জহুরুল করিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এএমএম সালেহ। সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লেস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. পিটার ওয়াইন ।
প্রফেসর ড. পিটার ওয়াইন বলেন, ‘মাছ, মাংস, শাক সবজি তথা কৃষি দ্রব্য উৎপাদনে যেভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যৎ কৃষি হুমকিস্বরুপ হয়ে দাড়িয়েছে।
বিভিন্ন রোগের জীবাণু খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে আমাদের দেহের সাথে মিশে যাচ্ছে। এতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাই পরিকল্পিতভাবে সঠিক উপায়ে কৃষি এবং প্রাণিসম্পদে পরিমাণমত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: