ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি উকিল উদ্দিনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি টিএসসিসির সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর হিসেবে দায়িত্বরত কর্মচারী।
জানা গেছে, উকিল উদ্দিনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ও তাকে চাকরি থেকে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ভিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ।
জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে কর্মচারীদের অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমন খবরে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আন্দোলনে নামে কর্মচারী সমিতি।
তারা প্রথমে প্রশাসন ভবনের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে ইনক্রিমেন্ট বাতিল না করাসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকেল ৪টার ট্রিপের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। সন্ধ্যার পরে বিষয়টি নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর হারুন উর রশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর মো. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর সেলিম তোহা এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ।
সভায় ওই কর্মচারীর নেতৃত্বে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীলতার অভিযোগ এনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে আগামী ৭ কার্যদিকসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর আহসান উল আম্বিয়া এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ রেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, একটি উড়ো খবরে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর, সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যহত করার লক্ষ্যে তারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী। এই নৈরাজ্য সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: