Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বুয়েট শিক্ষকদের হাইকোর্ট: নির্যাতিত ছাত্রীদের দোষারোপ কেন?

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৮, ০৪:৪৩

বুয়েট লাইভ: তিন শিক্ষককে আগামী ৩১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ নেয়া হয়েছে। তিন শিক্ষককে আগামী ৩১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ নেয়া হয়েছে।

তিন ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ তদন্তকারী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তিন শিক্ষককে হাইকোর্ট বলেছেন, ধর্ষণের শিকার হলেও নারীরা তা বলতে বা প্রকাশ করতে চান না। সেখানে তিন ছাত্রী ইভটিজিং-এর অভিযোগ করলো। অথচ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উল্টো তাদেরকেই দোষারোপ করলেন। এটা ঠিক হয়নি।

আদালত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন বিবেচনায় আপনারা অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকে দোষারোপ করলেন? তাদেরতো (তিন ছাত্রী) ভবিষ্যত আছে। সামাজিক অবস্থা আপনারা বিবেচনা করলেন না।

এদিকে ওই তিন শিক্ষককে আগামী ৩১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ নেয়া হয়েছে।

যে তিন শিক্ষককে হাজির থাকতে বলা হয়েছে তারা হলেন- তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, কমিটির সদস্য যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী ও পুরোকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. রওশন মমতাজ।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন এবং উল্লেখিত অভিমত প্রকাশ করেন।

আজ আদালতে হাজির হয়ে ওই তিন শিক্ষক পরবর্তী তারিখে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলেও আদালত তা গ্রহণ করেননি। তিন ছাত্রীর করা পৃথক তিনটি রিট আবেদনের শুনানি চলছে এ আদালতে। তিন শিক্ষকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। বুয়েটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৌরভ কর্মকার।

২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বুয়েটের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে তিন ছাত্রী ইভটিজিং-এর অভিযোগ আনেন। এ অভিযোগ পাওয়ার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরইমধ্যে তিন ছাত্রী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। এ অবস্থায় এ কমিটি তদন্ত শেষে ওইবছরের ৩ জুন প্রতিবেদন দেয়।

প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওইবছর তিন ছাত্রীকে শাস্তি দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তাদের তিন টার্মের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে আজীবনের জন্য আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওইবছরই রিট আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট তিন ছাত্রী। রিট আবেদনে বলা হয়, চাপের মুখে তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট শাস্তি স্থগিত করে এবং রুল জারি করেন।

এরই মধ্যে এ রুলের ওপর উভয়পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি ছিল রায় ঘোষণার দিন। কিন্তু আদালত মামলার নথি (বুয়েটের তদন্ত প্রতিবেদন) পর্যালোচনা করে দেখেন যে, তদন্ত প্রতিবেদনে ইভটিজিং-এর অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এটা দেখার পর আদালত তদন্ত কমিটির তিন শিক্ষককে তলব করেন।

 


ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ