বাকৃবি লাইভ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বুধবার ‘ইলিশের স্যুপ ও নুডুলস তৈরী’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. এমএএম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ ও ওয়ার্ল্ড ফিশ-বাংলাদেশ এর গবেষক ড. ভ্যান মার্টিন লুইস।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ড. একেএম নওশাদ আলম ।
কর্মশালায় প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর বলেন, ‘উৎপাদিত ইলিশ স্যুপ ও ইলিশ নুডুলস সংরক্ষণের মাধ্যমে সারা বছর ইলিশের স্বাদ পাওয়া যাবে। এই ইলিশ স্যুপ ও ইলিশ নুডলস রপ্তানি করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং এ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।’
প্রযুক্তি উদ্ভাবক গবেষক প্রফেসর একেএম নওশাদ আলম ইলিশ থেকে স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। ইলিশ সংরক্ষণের এই প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরোও বলেন, ইলিশ অধিক আমিষ ও অধিক চর্বির মাছ। কিন্তু ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরকে সুস্থ্য ও সতেজ রাখে।
নওশাদ আলম তার মূল প্রবন্ধে জানান, এক হাজার টাকা দামের একটি ইলিশ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক-দুজনের জন্য স্যুপ তৈরি করা সম্ভব। ইলিশের স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
এ ছাড়া ইলিশ দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নুডলস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বাজারে সচরাচর যে নুডলস পাওয়া যায়, তার থেকে হয়তো কিছুটা দাম বেশি পড়বে। তবে খুবই সাশ্রয়ী দামে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের নুডলসও বাজারজাত করা সম্ভব হবে। শরীরের উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ানো এই মাছটি সংরক্ষণ করে খাওয়ার একটি উপায় বের করতে পারলে পুষ্টিগুণের অনেক চাহিদা পূরণ হবে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, ইকোফিশ প্রকল্পের সহায়তায় ভারগো ফিশ এ্যান্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেড শিগগিরই দেশব্যাপী এগুলো বাজারজাত করবে। ইলিশ মাছকে প্রক্রিয়াজাত করে এর মূল্যমান বৃদ্ধি করতে প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণা করেছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর নওশাদ আলম।
ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: