লাইভ প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারা যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।
এঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে জুবায়েরের পরিবারের সদস্যরা। তারা খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে পাঁচজনের ফাঁসি এবং দু’জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুবায়েরের পরিবার। পরিবারের দাবি এ রায় যেন উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তার পরিবার।
জুবায়েরের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জুবায়ের হত্যা মামলায় চারজনকে খালাস দেয়ায় আমাদের পরিবার হতাশ। সবাই জানে এ আসামিরাও জুবায়েরকে হত্যা করেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে আপিল করবো।
উল্লেখ্য, বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জুবায়ের হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচজন হলেন, খন্দকার আশিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মাহবুব আকরাম ও খান মোহাম্মদ রইস। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম আপিল করেন, অপর চার আসামি পলাতক। আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা দুজন হলেন ইশতিয়াক মেহবুব ও নাজমুস সাকিব।
খালাস পাওয়া চারজন হলেন, মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, কামরুজ্জামান ও অভিনন্দন কুণ্ডু। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে পলাতক ইশতিয়াক মেহবুব ছাড়া অপর পাঁচজন আপিল করেছিলেন। আসামিরা সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেয়া হয়। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা করে তারই সংগঠনের অপর একটি পক্ষ।
ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: