জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপর এক শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় ওই শিক্ষিকার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দেয়া হয়েছে।
শিক্ষিকার অভিযোগ এর আগে তার এক সন্তান জন্ম দিয়েছেন ওই শিক্ষক। এবার দ্বিতীয় সন্তানের গর্ভপাতের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জাবি ভিসি ড. ফারজানা ইসলামের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, বিয়ে ও সন্তানকে অস্বীকার, গর্ভপাতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ভিসি জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগকারী নিজেও দেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক। তিনি গত ১৭ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এসব অভিযোগের বিচার দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষিকা বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাবি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর আফসার আহমেদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন এবং তাকেও গোপন রাখতে বাধ্য করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা আরো বলেন, ‘স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষায় আমি কলা ও মানবিক অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করি। দ্বিতীয় বর্ষে আমি তাকে কোর্স শিক্ষক হিসেবে পাই। ক্রমশ তার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি আমাকে বিয়ে করেন।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমি দ্বিতীয়বার অন্ত:সত্ত্বা হলে ওই শিক্ষক আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি হুমকি দেন, এই সন্তানকে জন্ম গ্রহণ করতে দেবেন না। সন্তানের জন্ম হলে ডিএনএ রিপোর্টে সন্তানের পিতৃপরিচয় মিথ্যা প্রমাণের ভয় দেখান। তিনি আমাকে ও আমার গর্ভের সন্তানকে হত্যারও হুমকি দেন। এসব কারণেই প্রাণনাশের শংকায় তিনি জাবি ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রফেসর আফসার আহমেদকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
ঢাকা, ২২ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: