চুয়েট লাইভ: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়েট শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি প্রফেসর ড. মো: আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী ও কর্মচারী সমিতির পক্ষে মো: জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী প্রফেসর এটিএম শাহজাহান। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নিহতের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ডিসেম্বর আমাদের গৌরবের মাস, বিজয়ের মাস একইসাথে বেদনারও। এই মাসেই আমরা দেশের সূর্যসন্তানদের হারিয়েছিলাম।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করে দিতে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বিচারে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তানী দোসররা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
পাকিস্তানীদের থেকে বর্তামানে আমরা যে কোন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে আমরা এগিয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশ সামনে আরো এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: