চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ‘প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. দানেশ মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রফেসর ড. রফিকুল হকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন হয়ারানির অভিযোগ করেন। এরপর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও দুই ছাত্রী একই অভিযোগ করেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইনস্টিটিউটের এক জরুরি বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোজাফর আহমদ ও প্রফেসর ড. আল আমিন।
ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের শিক্ষক প্রফেসর রফিকুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তিন সদস্যের ‘অভিযোগ ও তথ্য অনুসন্ধান কমিটি’র ৩৯৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির সভায় এ প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত ও উপস্থাপন করা হয়। এরআগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের ৩য় সেমিস্টার, ৮ম সেমিস্টার ও ছাত্রীদের সম্মিলিত একটি পক্ষসহ মোট তিনটি অভিযোগপত্রের পর তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। অনুসন্ধান শেষে ১২ ডিসেম্বর কমিটি তাদের প্রতিবেদন পরিচালকের কাছে জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. দানেশ মিয়া বলেন, অভিযোগপত্রে ছাত্রীদের যে অভিযোগ ছিল, অনুসন্ধানেও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ ও তথ্য অনুসন্ধান কমিটিও তা যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কমিটির সদস্যরা প্রায় ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। সকল তথ্য প্রমাণ ডিভিডি আকারে সংরক্ষিত আছে।
এ ঘটনার পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো প্রতিবেদনটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি'র নিকট হস্তান্তর করব। এসময় ওই শিক্ষকের একাডেমিক কার্যক্রমে বিরত থাকার নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর লোহাগাড়া (চুনতি) ফাইস্যাখালী, ইনানী ও টেকনাফের উদ্দেশে শিক্ষা সফরে যায় ইনস্টিটিউটের ৩য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর রফিকুল হক। ওই শিক্ষা সফরের সময় তিনি ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরাও একই অভিযোগ করেন।
ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: