Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গণবি'র প্রশাসনিক ভবনে তালা

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বার ২০১৭, ০৪:২৭


গণবি লাইভ: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে কর্মে যোগ দিতে আসা কর্মকর্তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থান করছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা এবং শিক্ষার্থীদের বারবার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশংকার ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগের সূত্র ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

দুপুর ১টা থেকে নিজ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা বন্ধ অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকার পর বিকাল ৪ তার দিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা: লায়লা পারভিন বানু।

২৬ এপ্রিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া বিবিএসহ ৭ টি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হবার অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভাগটির অনুমোদন জটিলতা ও তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশংকার সুরহার দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ মে ইউজিসির বিজ্ঞাপনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদালতের জারি করা স্থগিতাদেশের পর প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও বিভাগটির অনুমোদন জটিলতার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা: লায়লা পারভিন বানুর সাথে দেখা করতে যান।

শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে নিজেদের ক্ষোভ এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশংকার কথা প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ভিসি এর আগে বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিয়ে আসলেও আদালতের কোন সরাসরি আদেশ বা ইউজিসির ওয়েবসাইট এ বিবিএ’র অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভিসি ডা: লায়লা পারভিন বানু বলেন, ইউজিসির সাথে ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সরাসরি সাক্ষাত করতে চাইলে ইউজিসির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাড়া না পাওয়ায় কোন অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে বাকবিতণ্ডা করে ভিসির কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যায় এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়।

এরপর আবারো ভেতরে ঢুকে উপাচার্যের দরজা লাথি দিয়ে ভেঙ্গে ভিসির ব্যবহৃত চেয়ার বাইরে এনে ভাঙচুর চালায়। প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলার সিসি ক্যামেরা ও বেশকিছু গ্লাস ভেঙে দেয় এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ভিসি দাবি করেছেন এর আগে ইউজিসি’র পক্ষ থেকে অনুমোদনের জন্য ঘুষ চেয়েছে। কে ঘুষ চেয়েছে তার প্রমাণ চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ভিসি ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ দিতে চেয়েছেন বলেও জানায় তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, বিবিএ বিভাগের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থী ভর্তি করে প্রতারণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর তার বলি হতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের শিক্ষা জীবন কারো প্রতারণার শিকার হতে পারে না। আমরা যে কোন মুল্যে আমাদের শিক্ষা জীবনের স্বীকৃতি চাই।

এদিকে এই অচলাবস্থা সামাল দিতে বুধবার সকাল ১০টায় বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালাসহ আরও কঠোরতর আন্দোলনে যাবেন তারা।

 

 

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ