Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বেরোবি'তে শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বার ২০১৭, ০১:৩৮

 

বেরোবি লাইভ: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে। গণিত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা মশিয়ার রহমান কর্তৃক শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফ।

রাতে সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীর শাস্তির দাবিতে নীল দলের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানায় অভিযোগে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল থেকে সম্প্রতি কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নীল দলের সভাপতির বক্তব্যের জের ধরে বঙ্গবন্ধু পরিষদের স্বঘোষিত সদস্য সচিব মশিয়ার রহমান তার পক্ষের কয়েকজন শিক্ষক ও বহিরাগতকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।

পরে তিনি নিজেই জরুরী কথা আছে বলে ড. শফিক আশরাফকে মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে নেন। বাসা থেকে বের হতেই মশিয়ার রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষকসহ অপরিচিত বহিরাগত লোক ড. শফিক আশরাফকে ঘিরে ফেলেন। একই সাথে তাঁকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিতসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ড. শাফিক আশরাফের চিৎকারে ডরমিটরিতে বসবাসরত অন্যান্য শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় ড. শফিক আশরাফ রাতেই প্রাণ নাশের হুমকির বিষয়ে কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ড. শফিক আশরাফ জানান, ‘নীলদলের সভাপতি হিসেবে পত্রিকায় দেয়া একটি বিবৃতি নিয়ে মশিউর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে তিনি আমাকে শারিরীকভাবে আঘাত করেন। এসময় আরো ৩০থেকে ৩৫জন বহিরাগত দেখতে পাই এবং তারা আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসলে আমি চিৎকার করে ডরমেটরির ভিতরে প্রবেশ করি। গত রাতেই রংপুর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করি।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, ‘শফিক আশরাফের চিৎকার শুনে ডরমেটরির নিচে আসলে আমরা মশিউর রহমানকে তার উপর চড়াও হতে দেখি এবং আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি। এসময় আমাদের দেখতে পেয়ে বহিরাগত প্রায় ৩০/৪০জনের মত লোক দূরে সরে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষক ডরমেটরীতে অনেকগুলো পরিবার বসবাস করে। এমন একটি জায়গায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে বাসা থেকে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা-তাকে লাঞ্চিত করা শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। গভীর রাতে একজন শিক্ষকের উপর আরেক শিক্ষক তার দলবলসহ এভবে চড়াও হবেন তা কেউই ভাবতে পারেননি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ড. শফিক আশরাফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট এর দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে গভীর রাতে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীর শাস্তির দাবিতে বুধবার বেলা ১.৩০টায় নীলদলের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত মশিউর রহমানকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। সার্বিক বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 


ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ