বেরোবি লাইভ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. শফিক আশরাফের ওপর হমলা হয়েছে। ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের সভাপতি, বাংলা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও সহকারি প্রক্টর ড. শফিক আশরাফের ওপর গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব মশিউর রহমান হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক জানান, ‘শফিক আশরাফের চিৎকার শুনে ডরমেটরির নিচে আসলে আমরা মশিউর রহমানকে তার উপর চরাও হতে দেখি এবং আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করি। এসময় আমাদের দেখতে পেয়ে বহিরাগত প্রায় ৩০/৪০জনের মত দুরে সরে যায়।
হামলার শিকার ড. শফিক আশরাফ জানান, মঙ্গলবার রাতে আমি নিজ ডরমেটরিতে অবস্থান করছিলাম। এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ও গণিত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মশিউর রহমান আমাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে আমার সাথে দেখা করতে চান। আমি আমার বাসায় দেখা করার কথা বললে তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ড এর পিছনে দেখা করতে বলেন। বাস স্ট্যান্ড এর পিছনের কথা বললে আমার মনে সন্দেহের উদয় হয়।
তখন আমি ডরমেটরির নিচে আসতে বলি। ডরমেটরির নিচে নামলে আমি মশিউরের সাথে আরো তিনজন শিক্ষককে দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, ‘নীলদলের সভাপতি হিসেবে পত্রিকায় দেয়া একটি বিবৃতি নিয়ে মশিউর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে তিনি আমাকে ধাক্কা দেন। এসময় আরো ৩০থেকে ৩৫জন বহিরাগত দেখতে পাই এবং তারা আমাকে মারার জন্য তেরে আসলে আমি চিৎকার করে ডরমেটরির ভিতরে প্রবেশ করি।
‘বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ভিসি স্যারকে জানালে তিনি আমাকে একটি জিডি করতে বলেন এবং গত রাতেই রংপুর কোতোয়ালী থানায় আমি সাধারণ ডায়েরী করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শফিক আশরাফ’।
অভিযুক্ত শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, এটা আসল ঘটনা নয়। আসল ঘটনা লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে প্রক্টরকে জানাবো বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষক ডরমেটরীতে অনেকগুলো পরিবার বসবাস করে। এমন একটি জায়গায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে বাসা থেকে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা-তাকে লাঞ্চিত করা শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। গভীর রাতে একজন শিক্ষকের উপর আরেক শিক্ষক তার দলবলসহ এভাবে চড়াও হবেন তা কেউই ভাবতে পারেননি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি বরাবরের মতো মুঠোফোননটি রিসিভ করেননি।
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: