ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। সারাদেশে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তোলপাড় শুরু হলেও এর কোন স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাচ্ছেনা কতৃপক্ষ।
জানা গেছে, নাটোর ও পাবনা জেলার দায়িত্বে থাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছাহীকে (২৯) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা।
সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার সময় তাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকা থেকে আটক করে ঢাকায় উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়। এছাহী পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের এছাম উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার রাত ১১টার সময় গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস এ তথ্য জানান।
সিআইডি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির সদস্যরা এছাহীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে তার জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ করা হচ্ছে। এজন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, এছাহী নিখোঁজ ছিলেন না। অথচ গত তিন দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বা তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিলো। তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকেই আটক করা হয়েছে।
নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আসিক হোসেন বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাকিবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার শেষ কথা হয়।
‘তিনি সে সময় নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে অফিসে আসছেন বলে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেদিন আর অফিসে আসেননি। পরে বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপারকে ও রাকিবুলের বড় ভাইকে জানাই। ওইদিন দুপুর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তিনি পাবনা জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। সেখানেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছাহী নিখোঁজ হননি। তাকে সিআইডি অফিসের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা নেয়ে জান।
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: