বেরোবি লাইভ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে "পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকবৃন্দের সংগঠন নীল দলের উদ্যোগে মঙ্গলবার সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনে বাংলা বিভাগের গ্যালারিতে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও।
বাংলা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফ এর সভাপতিত্বে শুরু হয় সেমিনার। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার সাইফুল ইসলাম।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের লেকচারার আশান উজ জামান এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।
আলোচকগণ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসের পাতা ওল্টালেই নানা রকম যুদ্ধ ও হত্যাকান্ডের কথা জানা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের মতো এত করুণ ও হৃদয় বিদারক ঘটনা আর কোথাও দেখা যায়নি।
বক্তারা আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর মধ্যরাত থেকেই নারকীয় হত্যাকান্ডে মেতে ওঠে। শিশু, তরুণ, আবাল বৃদ্ধ বণিতা, কাউকেই তারা রেহাই দেয়নি। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে এত কম সময়ে এত মানুষকে হত্যা আর এত নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি। পৃথিবীর কোনো যুদ্ধেই শিল্পী, সাহিত্যিক, জ্ঞানী-গুনী, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নজির নেই।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে বাঙালি জাতিকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করার জন্যই বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করে। আর এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে এদেশেরই কিছু বিশ্বাসঘাতকেরা। যাদের ইতিহাস ক্ষমা করেনি এবং ভবিষতেও করবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, “পাকিস্তানিদের প্রেত্মাতারা এখনো বাংলার মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পারে স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে”।
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: