চবি লাইভ: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। কমিটি বিলুপ্তির এক সপ্তাহ পার না হতেই আবারো দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়াল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচএম ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অন্ত:কোন্দল চলছে। বিবাদমান দু্ট পক্ষই সাবেক সিটি মেয়র এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বিজয় মিছিলের প্রস্তুতিকালে কলা অনুষদ ঝুপড়িতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ওমর ফারুকের সঙ্গে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ক্যাম্পাস জুড়ে ঘণ্টাব্যাপী উত্তেজনা বিরাজ কর।
এ নিয়ে ওমর ফারুক বলেন, আমরা বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় একটি পক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তারা ধাওয়া করে। এতে আমি কিছুটা আহত হই।
এদিকে, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন বহিরাগতদের দিয়ে মহড়া দেয়ার চেষ্টা করে। পরে আমরা সকলে মিলে প্রতিহত করি। তৃণমূলের কর্মীরা তার প্রতি অসন্তুষ্ট। এর আগেও নানা ধরনের অপকর্ম ও নোংরা রাজনীতি করেছেন তিনি। এবার এমন কিছু করার চেষ্টা করলে প্রতিহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনকে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: