Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

গ্রামীণফোনের লাইসেন্স বাতিল, ১১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২, ০৬:৪০

১১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন

লাইভ প্রতিবেদক: গ্রামীণফোনের নিকট সরকারের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত আদায়সহ গ্রামীণফোনের কর্পোরেট লাইসেন্স বাতিলের দাবী উঠেছে। একই সাথে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আজ ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন।

আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্য অভিনেতা আহসানুল হক মিনু ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ। কর্মসূচীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রোমান হোসাইন বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের যেকোন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

গ্রামীণফোনের নিকট সরকারের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত আদায়সহ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।" সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "গ্রামীণফোন বাংলাদেশের জনগণের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত ফেরত না দিলে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট লাইসেন্স বাতিল করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

গ্রামীণফোনকে অবশ্যই জনগণের টাকা দ্রুত ফেরত দিয়ে এদেশে ব্যবসা করতে হবে। কোন দেশী-বিদেশী কর্পোরেট মাফিয়াকে দেশের জনগণের টাকা লুট করতে দিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের অসহায়ত্বমূলক বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

দীর্ঘদিন যাবত গ্রামীণফোন কিভাবে সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিলো। এর জবাব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে দিতে হবে। কারণ তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তথাকথিত সুশীল ড. ইউনুস গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন।

বাঙ্গালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে ড. ইউনুস প্রমাণ করেছেন তিনি দেশ ও জাতির শত্রু। রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর ড. ইউনুসকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। গরিবের রক্তচোষা সুদখোর ড. ইউনুসের নির্দেশে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে জনগণের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

অবিলম্বে জনস্বার্থে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট লাইসেন্স বাতিল করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। সরকারের নিকট দাবি, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গ্রামীণফোনের কার্যালয় ঘেরাওসহ দেশব্যাপী আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"

সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, "একাত্তরে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আর কোন ষড়যন্ত্র করলে ড. ইউনুসকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ইউনুস গংদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনে আমরা আবার যুদ্ধে নামবো।

গ্রামীণফোনের তালবাহানা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে জনগণের টাকা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা খুব শীঘ্রই গ্রামীণফোন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালন করবে।" সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা আহসানুল হক মিনু বলেন, "মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি।

কোন পশ্চিমা দালালের ষড়যন্ত্র মেনে নিবে না বাঙ্গালি জাতি। গরিবের টাকা লুটকারী ড. ইউনুসকে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না। বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে ড. ইউনুসকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে সরকারকে আরোও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।"

ভাস্কর্য শিল্পী রাশা বলেন, "গ্রামীণফোন জনগণের টাকা লুট করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কলড্রপসহ বিভিন্ন অফারের নামে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়ত জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অনেক আগেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। বিটিআরসির দায়িত্বহীনতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি। গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহি করা প্রয়োজন।

কারণ তারা অনেক আগেই কঠোর ব্যবস্থা নিলে এধরণের রাষ্ট্রীয় ক্ষতির ঘটনা সংঘটিত হতো না। জনগণের ১১ হাজার কোটি টাকা জরিমানাসহ দ্রুত আদায় করতে হবে। এই টাকা লুটপাটের মূলহোতা ড. ইউনুসকে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।"

সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, "গ্রামীণফোন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আইনী নোটিশ পাঠিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছিল। শর্ত অনুযায়ী ৩৪ শতাংশ লভ্যাংশ গ্রামীণ ব্যাংকের গরিব দুঃখী মানুষের জন্য ব্যয় না করে রক্তচোষা সুদখোর ইউনুস হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার করে নোবেল পুরস্কার কিনে নিয়েছিল। জনগণ ইতিমধ্যে তথাকথিত সুশীল ড. ইউনুসের প্রতারণা বুঝতে পেরেছে।

দেশের মানুষের সাথে বারবার প্রতারণা করার অপরাধে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট লাইসেন্স বাতিলসহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।"

ঢাকা, ০৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ