বিজনেস লাইভ: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অভিজাত বিপণী বিতান থেকে ফুটপাতের মার্কেট দখল করে নিয়েছে কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর ও কালীগঞ্জের তৈরি বাহারী রং ও ডিজাইনের আধুনিক সব পোশাক। দামে কম ও কাপড়ের গুনগতমান থাকায় ক্রেতারাও লুফে নিচ্ছেন এ অঞ্চলের তৈরি পোশাক।
বিশেষ করে রমজানের ঈদ এবং শীতের সময় এ দুই মৌসুমই এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল সিজন। পবিত্র মাহে রমজান চলমান তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নির্ঘুমরাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা। যদিও বছর জুড়েই চলে নানা ধরনের পোশাক তৈরির কাজ তবে শীত অথবা ঈদ এলেই কারিগরদের হতে হয় গলদঘর্ম।
এখানকার পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ঈদের পোশাকের প্রায় ৬০ থেকে ৭০শতাংশ পোশাক কেরানীগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। কালিগঞ্জ , আগানগর ও শুভাঢ্যার বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে দেখা গেছে এখানকার তৈরি পোশারে বাজারে রমজানের শুরুতেই ব্যাপক পাইকার সমাগম। তাই দিন-রাত চলছে বাহারীসব পোশাক তৈরির কাজ।
জেলা পরিষদ মার্কেট এর এক্সটা ফ্যাসনের সত্ত্বাধিকারী মো. আরিফ জানান, বিগত দুই বছর করোনা মহামারিতে আমাদের ব্যবসায় প্রচুর লোকসার হয়েছে। এ বছর আল্লাহর রহমাতে ভালো সেল হচ্ছে। পাইকাদের চাহিদা অনুযাই পণ্য সরবরাহ করতে পারছিনা। আসা করি পণ্য ঠিক ভাবে দিতে পারলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।
এ ব্যাপারে কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুসলিম ঢালী জানান, মূলত শীত ও ঈদ মৌসুমই আমাদের সবচেয়ে বড় মৌসুম। তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে এখানকার প্রায় ১০ সহাস্রাধিক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। রোজার মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তাদের এব্যস্ত সময়।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. স্বাধীন শেখ বলেন, এখানে কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। নেই কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। নৌ-পথ ও সড়ক পথে দেশের যে কোন অঞ্চলে সহজে যোগাযোগ এবং যানজটমুক্ত এলাকা হওয়ায় দেশের যে কোন এলাকার পাইকাররাই মন খুলে পছন্দ মাফিক কেনাকাটার জন্য এখানে আসেন।
ঢাকা, ১১ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: