লাইভ প্রতিবেদক: এবার পেয়ারা ফলকে কেন্দ্র করে ছাত্রী হোস্টেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে চুলোচুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কলেজের ইতিহাসে এই প্রথম পেয়ারা ফল পারা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে গোটা বরিশালে তোলপাড় চলছে।
এই ঘটনায় বিএম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও মহল্লায় মহল্লায় নানান সমালোচনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বাজে কাজ ছাত্রীরা করবে এটা আমরা ভাবতেও পারিনি।
বরিশালের বিএম কলেজের বনমালী ছাত্রীনিবাসে শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন ছাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়েছে। আহত সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
কলেজের ছাত্রী হোস্টেল ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বিএম কলেজের বনমালী ছাত্রীনিবাসে পেয়ারা পাড়া নিয়ে সংঘর্ষে চুলোচুলি ও একে অপরকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পরের মত ঘটনা ঘটেছে।
ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন আক্তার, মারিয়া হোসেন ও ইসরাত জাহান। তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা হলো ছাত্রলীগ নেত্রী মুনিরা আক্তার মনি, কান্তা ইসলাম, ঝুমুর, ফাতেমা, জান্নাত ও মিষ্টি। তাদেরকও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রী নিবাসের ২নং ভবন কাকলী'র সামনে একটি পেয়ারা গাছ রয়েছে। সেখানে একটি শেড নির্মাণ করা হবে। এতে গাছটি কাটা পড়বে। তাই ঠিকাদার জুয়েল ছাত্রলীগ নেত্রী মুনিরার কাছে পেয়ারা খাবে কিনা জানতে চায়। তখন মুনিরাসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে গাছ থেকে পেয়ারা পাড়ে। এই সময় হেনাসহ তারা অনুসারীরা পেয়ারা পাড়তে বাধা দেয়। এই সময় উভয়নেত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এক পর্যায়ে হেনা ও তার অনুসারীরা লাকড়ি নিয়ে হামলা করে। তারা মুনিরাসহ অনুসারীদের পিটিয়েছে। এই সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল স্বপন কুমার পাল, তত্ত্বাবধায়ক এসএম নাসিরউদ্দিন ও পুলিশসহ ছাত্রী নিবাসের সংশ্লি¬ষ্টরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হবে। তাদের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা, ১৪ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: