Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ববিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের তাণ্ডব: ভাঙচুর, সিট দখল

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, ০৬:৫৪

জিনিসপত্র ভাংচুর, সিট দখল

বরিশাল লাইভ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগ নেতা সিফাতের সমর্থকরা বিরোধী মতের অনুসারীদের কক্ষে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও সিট দখলের অভিযোগ উঠেছে। তাহমিদ জামান নাভিদ ও শরিফুল ইসলাম নিলয়ের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের দুটি দল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।

গত মঙ্গল ও বুধবার দিনগত গভীর রাতে এই হামলা চালানো হয়। এসময় ওই কক্ষে কাউকে না পেয়ে তাদের বই, কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় তারা ওই কক্ষটি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। আগামী দুই একদিনের মধ্যে আরেকটি কক্ষ দখলের আশংকা করছেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে এই ঘটনার পর হলের সাড়ে পাঁচশত সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা দাবি করা মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে শের ই বাংলা হলে ঢুকে কুপিয়ে জখমের পর এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তুহিন, ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার রিয়াজ উদ্দিন ও আশরাফুল ইসলাম দিপ হচ্ছেন জিসান আহমেদের অনুসারী।

ভূক্তভোগী আবাসিক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তুহিন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে ৭ম-৮ম ব্যাচের নাভিদের নেতৃত্বে আল সামাদ শান্ত, রুম্মানসহ ১৫-২০ জন আমার ৫০১০ নম্বর কক্ষে হামলা চালায়। এসময় আমি নিজবাড়ি উজিরপুরে ছিলাম। তাই আমাকে না পেয়ে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার শেষে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স জিনিস ও লাগেজ ভাঙচুর করা হয়। এসময় বই খাতা হলের বাইরে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে বুধবার আমার সিটে ১০ম ব্যাচের দুইজন শিক্ষার্থী উঠিয়েছেন সিফাত অনুসারীরা। আমি রিয়াজ উদ্দিনের বন্ধু হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
বাহিরে ফেলে দেওয়া বিছানা

আরেক ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম দিপ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমার ব্যবহৃত ৩০১২ রুমে বুধবার দিনগত রাতে নিলয়, খালিদ রুমি, নাওয়ার, তমালসহ ১৫-২০ জন রুমে প্রবেশ করে। এসময় আমাকে না পেয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি আমার জিনিসপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। শুনেছি দু’এক দিনের মধ্যেই নাকি আমার রুমে জুনিয়রদের উঠানো হবে। ফলে আমি এখন রুম হারানোর শঙ্কায় রয়েছি। এবিষয়ে প্রক্টর ও হলের প্রভোস্টকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাভিদ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমাদের নেতা সিফাত আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমরা নিজেরাই নিরাপদ না। এই অভিযোগ মিথ্যা।

আরেক অভিযুক্ত নিলয় ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ওই রুমের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম দিপ আমাদের নেতা সিফাতের ওপর হামলার নেপথ্যে কাজ করেছে। সে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গোয়েন্দার কাজ করতো। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন রুমে গিয়ে জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বিষয়টি ভূক্তভোগীরা জানিয়েছে। আমি হলের রুমগুলো পরিদর্শন করবো। তদন্ত শেষে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠন না হলেও বিভিন্ন সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। হামলার শিকার ও হামলায় অভিযুক্ত সক‌লেই ব‌রিশাল সি‌টি মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজে//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ