পবিপ্রবি লাইভ: নানা রকম অনিয়ম ও অভিযোগে জর্জরিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা। বিশেষ করে বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সবচেয়ে বেশী।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা প্রায়ই বহিরাগতদের বাসে উঠান। মাঝে মাঝে বহিরাগতদের ভিড়ে বাসে সিট পান না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।
তাছাড়া প্রায়শই অতিরিক্ত ভিড় থাকা স্বত্ত্বেও বাসে অনেক কর্মচারীদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালামাল আনা নেওয়া করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজনের বিবাহ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বেশীরভাগই অস্বীকার করেন পরিবহন শাখার কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও তাতে প্রায়ই বহিরাগতদের জন্য আমাদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে সকালের বাসে সমস্যাটি আরও প্রকটভাবে ধারন করে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পবিপ্রবির পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান অভিযোগ সমূহ স্বীকার করে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "পরিবহনের এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে এবং একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামনে এ ধরণের আরও অনিয়ম দেখলে শিক্ষার্থীরা যেন সরাসরি লিখিতভাবে জানায়"।
এ সময় তিনি আরও বলেন, "শিক্ষার্থীরা হলো ক্যাম্পাসের প্রাণ, কোন কিছুতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে তা কখনোই কাম্য নয়, পরিবহন শাখা সহ সকল জায়গার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীসহ সকলকেই দায়িত্বশীলতার ভূমিকা রাখতে হবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের সরাসরি লিখিতভাবে ছবি সহকারে অভিযোগ জাননো উচিত এবং উপর্যুক্ত প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে"।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ম বহিঃর্ভূত গাড়ি ব্যাবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃর্ভূত এবং পরিবহন শাখার এ অনিয়মের সমাধানে আমি নিজে বর্তমানে এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছি আশা করছি সামনে আমরা এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো"।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগসমূহ স্বীকার করলেও এ সকল অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জাননে না বলে বিবৃতি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম।
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: