Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ ১৮ দিন, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ২২:১১

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ববি লাইভ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আবাসিক হল সমূহ ১৮ দিন বন্ধের নোটিশ দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হলের স্ব স্ব প্রভোস্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান, গ্রীষ্মকালীন, মহান মে দিবস, শব-ই কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদুল ফিতর এবং বুদ্ধ পূর্নিমার উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। হল বন্ধকালীন সময়ে হলের যাবতীয় সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

হল বন্ধের এই নোটিশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সামনে ৪৪তম বিসিএস প্লিলিমিনারি পরীক্ষা, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। ঈদের অনেকের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে। যারা টিউশন করে চলে তাদের টিউশন রয়েছে। এসব মাথায় রেখে হল প্রশাসনের শিক্ষার্থীবান্ধব সিন্ধান্ত নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মিলান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর কয়েকদিন বাদে বাদে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হটকারি সিন্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে। তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা, সমালোচনা, গালমন্দ দেওয়ার পর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত হল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একবারও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করা হলো না।

এসময় তিনি আরো বলেন, হল খোলা রাখার ব্যাপারে এপ্লিকেশন দেওয়ার পরেও কেনো বিবেচনায় নেওয়া হলো না। যেখানে ঈদের পরেই বাংলাদেশের সবথেকে বড় সার্কুলার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এরপর বিসিএস পরীক্ষা। এসব বাদ দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখার খরচ যোগান দেয় টিউশনের মাধ্যমে। যদি ১৫ তারিখ হল খোলা হয় তাহলে এই শিক্ষার্থীরা ওই কয়দিনের জন্য বাসা ভাড়া করে থাকবে নাকি টিউশন ছেড়ে দিবে? আমাদের অবস্থা কি হবে এটা কি একবারও আমারের প্রশাসন ভেবে দেখেছে? ঈদের পরে অনেক বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সে কথাও বিবেচনায় নেওয়া হলো না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের বন্ধও ১৮ দিন দেয়া হয়নি। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ দিন বন্ধ দিয়ে রেখেছে। এতে আমরা যারা আবাসিক শিক্ষার্থী আছেন তাঁদের জন্য খুবই ভোগান্তির।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ইংরেজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোঃ আরিফ হোসেন জানান, আমাদের নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। জনবল কম। হল খোলা রাখতে হলে অনেক ফ্যাসিলিটিস দিতে হয়। এজন্য জনবল দরকার। যারা আছে তাঁরা শীতকালীন ছুটিটা সেক্রিফাইজ করেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটিটা বাতিল করলে তাদের জন্য অমানবিক হয়ে যায়। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে প্রভোস্ট স্টান্ডিং কমিটি এ সিন্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হল থেকে বন্ধ কালীন সময়ে হল খোলা রাখার জন্য আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

ঢাকা, ২৯ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ