যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়ার জন্য ডাক পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল আমিন। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি'র মধ্যে ওহিও ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা (মাস্টার্স প্রোগ্রাম) গ্রহণ করবেন।
ই-মেইল থেকে বার্তা পেয়ে আল আমিন বিষয়টি জানিয়েছেন। আল আমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই বড়।
জানা যায়, তিনি মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যে অফার পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ওহিও ইউনিভার্সিটি, সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্টার্ন ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্ট স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, বোলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ টলেডো ও নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি।
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স বা পিএইচডি ফান্ডিংয়ের জন্য সেন্ট্রালি এবং প্রোফেসর ম্যানেজের মাধ্যমে দুই ভাবে আবেদন করা যায়। অর্থনীতি বিভাগে সেন্ট্রালি আবেদন করতে হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যে আল আমিনকে গ্রহণ করে।এখানে স্কলারশিপের Teaching Assistantship (TA) মাধ্যমে বিনা খরচে তিনি পড়তে পারবেন।
অনুভূতি ব্যক্ত করে আল আমিন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, 'আমার বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি ঢাকাতে বস্তিঘর মেরামত করতেন। সংসারের বড় ছেলে হওয়ার কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে থেকেই আমার সংসারে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে হয়েছিলো। বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং থেকে শুরু করে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির এই দীর্ঘ পথচলায় অগনিত লোকজন মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। যাঁদের ঋণ জীবনেও পরিশোধ করার মতো না। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডিংএ চান্স পাওয়াতে তাদের সাথে কথা বলে যে প্রশান্তি পেয়েছি তা কোটি টাকা দিয়েও পাওয়া যাবে না। আমি পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ে বিশ্বাসী।
স্কলারশিপ পেতে অনুজদের প্রতি পরামর্শের প্রশ্নে তিনি আরো জানান, অনার্সের প্রথম বর্ষ থেকে সিজিপিএ বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য স্কিলগুলো উন্নীত করতে হবে। গবেষণা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর উপর কাজ করাটা জরুরি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নাহিদা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। আমাদের অর্থনীতি বিভাগ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলো যা আমাদের বিশাল বড় একটি অর্জন। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা রাখি।
ঢাকা, ২২ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজে//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: