Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঘুরে দাড়ানোর মন্ত্র

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২২, ০৭:০১

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পরতে পরতে মিশে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন-এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে তাঁর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় "৭ই মার্চ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিষয়ক তারূণ্যের ভাবনা" শীর্ষক আলোচনা তুলে ধরেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন

"৭ই মার্চ বজ্র কন্ঠে ঝড় তোলা এক অনবদ্য কবিতা"

৫০ টি বছর পেরিয়ে গেছে, সেদিন থেকে ১৯৭১ সালের যে দিনে স্বাধীনতাকামী,মুক্তিকামী এক বেপরোয়া বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে রেসকোর্সে ময়দানে এক মুখরিত সমাবেশে স্বাধীনতার/ মুক্তির বানী শুনিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কত গুলো বছর চলে গেছে, সেদিনের সেই মানুষগুলোর অধিকাংশ নেই। নতুন প্রজন্মের তরুণরা সেদিন ছিলো না, আমিও ছিলাম না। কিন্তু মনে হয় ভাষণটা এখনো সতেজ, সেদিনের মতো সতেজ প্রাণবন্ত , তরুণের রক্ত সঞ্চালন আর হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেওয়ার মতো সত্যি এক কাব্য, প্রিয় কবির শুধিয়ে যাওয়া এক অমর কবিতা। তিনি বাঙালির চাওয়া পাওয়া বুঝতে পেরেছিলেন।

৭ই মার্চের ভাষণে জাতি কাল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙলার মানুষের স্বপ্নের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা বজ্র কন্ঠে শুধিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা। স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির জন্য রক্ত দিতে, জীবন দিতে শিখায় যে ভাষণ, সেটাই ৭ই মার্চের ভাষণ। বাংলার মানুষ ও ঝাঁপিয়ে পরেছিলো যার যা ছিল তাই নিয়ে। রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতা।তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।

কাজী তানজিয়া রহমান এমি

 

রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
আজ আমরা স্বাধীন,স্বাধীন বাংলার মানুষ, যে স্বাধীনতার সূচনা হয়েছিল ৭ই মার্চ ১৯৭১। ঝড়ে যাওয়া রক্ত গুলো বৃথা যায়নি। কোন শব্দ চয়ন দিয়ে এই ভাষণটি প্রকাশ করা উচিত আমার জানা নেই। শুধু এইটুকু বলা যেতে পারে, তিনি কবি, প্রিয় কবি , আর ৭ই মার্চের ভাষণ তার কাব্যের লেখা এক অনবদ্য কবিতা।

কাজী তানজিয়া রহমান এমি, মার্কেটিং বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা"

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালির জীবনে এক স্মরণীয় দিন। এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।এই ভাষণটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা।বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ মানুষের মনে এক আশার আলো জাগিয়েছিল। মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল যে,আমরা স্বাধীন হব। এই দেশকে মুক্ত করব।তাই শত শত মানুষ এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।মুক্তিযোদ্ধারা ৭ মার্চের ভাষণ শুনে ভরসা পেতেন।

মো. সুজন মিয়া

 

দেশমাতাকে রক্ষা করবার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বার শক্তি পেতেন। সুযোগ পেলেই তারা বঙ্গবন্ধুর কথা শুনতেন। মা, বাবা ও ভাই বোনকে ফেলে আসা যোদ্ধাদের শক্তিই ছিল এই ভাষণ। ৭ই মার্চের প্রতিটা শব্দ, বাক্য আমাদের বার বার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে। এই ভাষণ আমাদের দেশকে ভালবাসতে, মাথা উচু করে বাচঁতে শেখায়। তাই আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

মো. সুজন মিয়া, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালীর আলোর পথের দিশা"

তোমার ডাকে অস্ত্র হাতে করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ
স্বাধীনতার পরশ পেয়ে তাই হলাম পরিশুদ্ধ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙে উন্নীত করি বিজয়ের শির
সারাবিশ্ব বিস্ময়ের চোখে দেখে এ জাতি বীর।
-(সুমন বনিক)

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। ইতিহাসখ্যাত ৭ মার্চের ভাষণ। ২ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারা বাংলায় পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ চলছিল। তৎকালীন পাকিস্তানি জনগণই শুধু নয়, বহির্বিশ্বের অনেকেও এক অনন্য উদ্দীপনা নিয়ে তাকিয়ে ছিল, বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে কী বলেন!পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য এ ছিল অন্তিম মুহূর্ত। অন্যদিকে স্বাধীনতার চেতনায় প্রদীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য এ ভাষণ ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন–শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত সংগ্রামের সূচনা।

সিফাত জামান মেঘলা

 

৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের উত্তাল জনসমুদ্রে সভামঞ্চে ‘রাজনীতির কবি’ বঙ্গবন্ধু মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাষণ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত অথচ তেজস্বী ভাষণে পাকিস্তানের ২৩ বছরের রাজনীতি ও বাঙালিদের বঞ্চনার ইতিহাসের ব্যাখ্যা, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানে তাঁর সর্বাত্মক চেষ্টা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধসংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেওয়ার ইঙ্গিত, শত্রুর মোকাবিলায় গেরিলাযুদ্ধের কৌশল অবলম্বন ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার পর ঘোষণা করেন: ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ...। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যান্য শ্রেষ্ঠ ভাষণ থেকে উজ্জ্বল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এ ভাষণ আমাদের অনুপ্রেরণা, চেতনার বাতিঘর। অন্ধকারে আলোর মশাল হয়ে আজীবন বাঙালির পথের দিশা।

সিফাত জামান মেঘলা, আইন বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঘুরে দাড়ানোর মন্ত্র"

৭ই মার্চ বাঙালি জাতীর ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিনভ এদিন রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যে ভাষণ ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বছরের পর বছর শোষণ নিপীড়ন থেকে মুক্তির পথপ্রদর্শক দর্পনস্বরুপ। যে ভাষণের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনীতি ও বাঙালী জাতির ২৩ বছরের বঞ্চনার চিত্র ফুটে ওঠে।

মো. আসিব হাসান

 

ঐতিহাসিক এ ভাষণের শেষদিকে বঙ্গবন্ধু বলেন- "ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ।এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।" তাঁর এ কথাই ছিলো বাঙালী জাতির শোষণ নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আহ্বান, যা বাঙালী জাতি আজীবন মনে রাখবে।৭ই মার্চের এই ভাষণের সফল পরিণতি আমাদের স্বাধীনতা।এই ভাষণ যুগে যুগে আমাদের অনুপ্রেরণা। ঘুরে দাঁড়ানোর এক মন্ত্র।

মো. আসিব হাসান, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"৭ ই মার্চের ভাষণ সুসংগঠিত বাংলাদেশের মূলমন্ত্র"

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ প্রতিবাদের এক মহাকাব্য। ১৯ মিনিটের নাতিদীর্ঘ ভাষণে তিনি তুলে ধরেছেন আমাদের সুদীর্ঘ ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। বলেছেন বাঙালির হৃদয় নিংড়ানো দেশপ্রেমের কথা। যা ছিল মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের এক সুগঠিত সংবিধান। শোষিত হওয়ার চেয়ে লড়াই করে বাঁচার প্রেরণা ৭ ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধু বলেছেন ''তোমাদের যার যা কিছু তা দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে" শোষক গোষ্ঠী সবসময়ই শক্তিশালী তাই বলে অধিকার হাতছাড়া নয়। সেদিনে সেই কয়েকটি বাক্য তারপরে আজকের বাংলাদেশ।

মাসুম মাহমুদ

 

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ৫০ বছর পার করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ কিন্তু রাজনৈতিক ও সামাজিক নিপীড়ন কি একেবারে নির্মূল হয়েছে? অর্থনৈতিক মুক্তি কি আদৌ সম্ভব হয়েছে? দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শিক্ষাবানিজ্য, বেকারত্ব, হাজারো সমস্যায় জর্জরিত প্রিয় মাতৃভূমি। বঙ্গবন্ধুর সেই বাক্য' আমরা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি পান' এটিই হোক তরুণ প্রজন্মের ভাঙা-গড়ার আন্দোলনের মূলমন্ত্র।

মাসুম মাহমুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

‘‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আগামী প্রজন্মের দিকনির্দেশনা’’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্ত দিয়ে ভাষণ প্রদান করেন। ভাষণের শেষাংশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। জাতির জনকের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন জাতির জনক। তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সার্বজনীনতা এবং মানবিকতা। যে-কোনো নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য এই ভাষণ সব সময়ই আবেদন সৃষ্টিকারী।

রাজু মোল্লা

 

এই ভাষণে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধিকার, মানবতা এবং সব মানুষের কথা বলা হয়েছে৷ ফলে এই ভাষণ দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে৷ আর একজন মানুষ একটি অলিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে স্বল্প সময়ে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাষায় কথা বলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা যা চেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তা-ই তাঁদের কাছে তুলে ধরেছেন। ফলে এই ভাষণটি একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়৷ এই ভাষণই তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম ও বাঙালির গৌরবময় ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করবে।

রাজু মোল্লা, মার্কেটিং বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"৭ই মার্চের ভাষণ তারূণ্যের অনুপ্রেরণা"

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। জাতির জনকের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন জাতির জনক। তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ভাষণের তাৎপর্য কতটা তা হয়তাে ভাষণটি শুনলেই বুঝা যায়। ভাষণটি শুনলেই যেন শরীরের ভিতর আবারও যুদ্ধের বাসনা জেগে উঠে।

আব্দুল আহাদ

 

ঠিক যেমন ১৯৭১ জেগে উঠে ছিল আমাদের দামাল ছেলেদের মনে। মূলত ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। ১৯ মিনিটের এই ভাষণের প্রভাব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর কতটা প্রভাবিত ছিল তা ১৮ দিন পর অর্থাৎ ২৫ মার্চ রাত আমাদের বলে দেয়। ওই দিন রাতে ঢাকা শহরে শুরু হয় গণহত্যা। মাটিতে লুটে পড়ে তাজা দেহের প্রাণ। এরপরও বাংলার দামাল ছেলেরা ভয় পায়নি। বরং ৯ মাস নিজের শেষ রক্ত দিয়ে লড়ে গেছে দেশের জন্য একটি সুন্দর লাল সবুজের পতাকার জন্য। এরপর পেছনে যে শক্তিটি কাজ করেছে তা হলাে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ যা আজ শুনলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূমি, পেয়েছি নিজেদের অধিকার, পেয়েছি লাল সবুজের দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। আজ যখন কিশােরীর হাতে পতাকা দেখি গর্বে বুক ভরে উঠে কিন্তু কেউ কি হিসেবে করেছি এমন কতাে কিশােরীর প্রাণ অকুলেই ঝরে গেছে। ৭ মার্চের ভাষণ ছিলো বাঙ্গালি জাতির মুক্তির পথ প্রদর্শক।

আব্দুল আহাদ, বাংলা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

"একাত্তরের আসাবিয়াহ '৭ই মার্চ"

স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বাস করার অধিকার লাভ এবং মুক্তিলাভের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পূর্ব বাঙলাএকাত্তরের আসাবিয়াহ "৭ই মার্চ"। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বাস করার অধিকার লাভ এবং মুক্তিলাভের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পূর্ব বাংলার মানুষের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম মুখর হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় বাঙালিরা ৭ই মার্চের ভাষণে পেয়েছিলো। ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষনকে পর্যালোচনা করার মধ্যে একটি জাতির পূর্নাঙ্গ চেতনার সামগ্রিক রুপ দেখতে পাই, যা মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলার মানুষের কাম্যতা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনীতির মুক্তিলাভের উপায়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থান ইত্যাদি আন্দোলনগুলোর রূপরেখা, বাঙালি জাতির অর্জন ও আত্মত্যাগের মহিমা ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব বাঙলার মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করার পাশাপাশি আত্ম-সংহতি এনে দিয়েছিলো।

মো. মুহিবুল্লাহ

 

৭ই মার্চের ভাষণের অন্যতম উক্তি "এ বাংলায়-হিন্দু-মুসলমান যারা আছে আমাদের ভাই, বাঙালি-অবাঙালি তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।" এখানে মূলত ইবনে খালদুনের আসাবিয়াহ এর দৃপ্ত পদচ্ছাপ দেখতে পাই, যা স্বাধীনতার সর্বাত্মক প্রস্তুতির পূর্নাঙ্গ রুপ। বাংলার মানুষের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম মুখর হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় বাঙালিরা ৭ই মার্চের ভাষণে পেয়েছিলো। ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষনকে পর্যালোচনা করার মধ্যে একটি জাতির পূর্নাঙ্গ চেতনার সামগ্রিক রুপ দেখতে পাই, যা মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলো।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলার মানুষের কাম্যতা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনীতির মুক্তিলাভের উপায়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থান ইত্যাদি আন্দোলনগুলোর রূপরেখা, বাঙালি জাতির অর্জন ও আত্মত্যাগের মহিমা ৭ই মার্চের ভাষণে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব বাঙলার মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করার পাশাপাশি আত্ম-সংহতি এনে দিয়েছিলো।

মো. মুহিবুল্লাহ, দর্শন বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা, ০৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ