পবিপ্রবি লাইভ : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রশাসনিক ভবনে দিনভর অবরুদ্ধ রয়েছেন ভিসিসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিনভর অবরোধের মুখে প্রশাসনিক অচলাবস্থা দেখা দেয়। এ সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৫ শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। দুই ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও এসময় লাঞ্ছিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা প্রবেশন (একাধিক বিষয়ে ফেলের মাধ্যমে সৃষ্ট) বাতিলের দাবিতে ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত প্রবেশন তুলে নেয়ার দাবিতে ক্লাশ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকসহ সবকটি প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে নিভৃত করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে ৫ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ওই শিক্ষকরা হলেন কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কাশেম চৌধুরী, বিবিএ অনুষদের ডিন প্রফেসর বদিউজ্জামান, কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবিএম মাহবুব মোর্শেদ খান, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রেশাদ মলিক এবং এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কুমার দেবাশীষ দত্ত।
এ প্রসঙ্গে কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবিএম মাহবুব মোর্শেদ খান লাঞ্চিত হওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা সেখান থেকে যেতে চাইলে আন্দোলনরত ছাত্ররা আমাদেরকে বাধা দেয়। তাদের দাবি দাওয়া পুরোটাই অযৌক্তিক।
এদিকে আন্দোলন চলাকালে রাত ৮ টায় ৭ম সেমিস্টারের অনিন্দিতা সাহা ও মিতু নামে ২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ সেন্টারে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, তাদের এ অযৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার মত নয়। তাদের আন্দোলন চলছে। আমরা তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ঢাকা, ২১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: